বিশ্ব দুগ্ধ দিবস আজ। ২০০১ সালে জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) ১ জুনকে বিশ্ব দুগ্ধ দিবস হিসেবে ঘোষণা করে। ঐ বছর থেকে বৈশ্বিক খাদ্য হিসেবে দুধের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং দৈনন্দিন খাদ্য গ্রহণে দুগ্ধ ও দুগ্ধজাত পণ্য
অন্তভুর্ক্তকরণে উৎসাহিত করতে প্রতি বছর বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালন করা হয়।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর প্রতি বছর দেশব্যাপী দিবসটি উদযাপন করে থাকে। ‘টেকসই দুগ্ধ শিল্প : সুস্থ মানুষ, সবুজ পৃথিবী’ প্রতিপাদ্য নিয়ে সারাদেশের পাশাপাশি চট্টগ্রামেও দিবসটি পালিত হচ্ছে। দিবসটি উপলক্ষে বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণীসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করেছে প্রাণিসম্পদ বিভাগ, চট্টগ্রাম। র্যালি পরবর্তী সকাল সাড়ে দশটায় চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বিভাগীয় কমিশনার ড. মো. আমিনুর রহমান। সভাপতিত্ব করবেন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর, চট্টগ্রামের পরিচালক ডা. এ কে এম হুমায়ুন কবির। সংশ্লিষ্ট সকলকে যথাসময়ে অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকতে অনুরোধ জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরের জেরা ট্রেইনিং অফিসার ডা. মেহেদী হোসেন ভুঁইয়া।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, দেশে দুধের মূল উৎস গরু। ৯০ শতাংশ দুধ আসে গরু থেকে, আট শতাংশ আসে ছাগল থেকে এবং দুই শতাংশ আসে মহিষ থেকে। গত দশ বছরে দেশে দুধ উৎপাদন বেড়েছে প্রায় পাঁচগুণ। মাথাপিছু দৈনিক ২৫০ মিলিলিটার দুধের চাহিদার বিপরীতে বর্তমানে ১৯০ মিলিলিটারের কিছু কম–বেশি পাওয়া যাচ্ছে।
সংশ্লিষ্টদের দাবি, মোট আমিষের ৮ শতাংশ আসে দুগ্ধ সেক্টর থেকে। ডেইরি ইন্ডাস্ট্রি এখন দেশের প্রতিষ্ঠিত শিল্প। এই ইন্ডাস্ট্রি দেশের মানুষের পুষ্টি, খাদ্য নিরাপত্তা ও দারিদ্র্য বিমোচনে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
প্রাণিসম্পদ অধিদফতর সূত্র জানায়, বর্তমানে দেশে ক্রমবর্ধমান জিডিপিতে প্রাণিসম্পদের অবদান ৩ দশমিক ২১ শতাংশ। দুধ থেকে বিভিন্ন উপায়ে আধুনিক প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমে নানা ধরনের দুগ্ধজাত দ্রব্য উৎপাদন করা হচ্ছে। যার সাথে বিশাল শ্রমশক্তি জড়িত। দেশের মোট কর্মসংস্থানের প্রত্যক্ষভাবে ২১ শতাংশ এবং পরোক্ষভাবে ৫০ শতাংশ প্রাণিসম্পদের উপর নির্ভরশীল।