দশ বছরে চা চাষের জমি বেড়েছে ৩০ হাজার একর

রপ্তানির লক্ষ্য এক কোটি কেজি

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২০ অক্টোবর, ২০২১ at ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

দেশে দশ বছরে চা চাষের জমির পরিমাণ প্রায় ৩০ হাজার একর বৃদ্ধি পেয়েছে। সমতলের পাশাপাশি পাহাড়েও বাড়ছে চা চাষের জায়গা। একই সাথে উৎপাদনও বাড়ছে। বাংলাদেশ থেকে বর্তমানে ১৯টি দেশে চা রপ্তানি হচ্ছে। এই ধারায় নতুন নতুন দেশ যুক্ত করার পাশাপাশি আগামী দুয়েক বছরের মধ্যে অন্তত এক কোটি কেজি চা পাতা রপ্তানির লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
চা বোর্ড সূত্র জানায়, এক সময়কার অন্যতম প্রধান রপ্তানি পণ্য ছিল চা। ১৮৪০ সালে এদেশে চট্টগ্রামে প্রথম যাত্রা শুরু হয়েছিল চা শিল্পের। ১৮৫৪ সালে সিলেট অঞ্চলে বিস্তার ঘটে চা চাষের। ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে এদেশে চা উৎপাদন এবং বিদেশে রপ্তানি হতো। গত পঞ্চাশ বছরে দেশে চা শিল্পের ব্যাপক বিকাশ ঘটেছে। বর্তমানে দেশে ১৬৬টি চা বাগান রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় চা বাগানসহ চট্টগ্রামে বাগান রয়েছে ২২টি। তবে সবচেয়ে বেশি বাগান রয়েছে মৌলভীবাজারে, ৯১টি। এছাড়া হবিগঞ্জে ২৫টি, সিলেটে ১৯টি, পঞ্চগড়ে ৭টি, রাঙামাটিতে ২টি এবং ঠাকুরগাঁওয়ে ১টি চা বাগান রয়েছে। পার্বত্যাঞ্চলের পাশাপাশি সমতল ভূমিতেও চা চাষ নতুন সম্ভাবনা তৈরি করেছে। এরই প্রেক্ষিতে ক্রমান্বয়ে বাড়ছে চায়ের জমি। ২০১০ সালে দেশে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৬৪২ একর ভূমিতে চা চাষ হতো। ২০২১ সালে ১ লাখ ৬২ হাজার একর ভূমিতে চা চাষ করা হচ্ছে। ১০ বছরের ব্যবধানে দেশে চা চাষের জমি অন্তত ৩০ হাজার একর বৃদ্ধি পাওয়াকে শুভ লক্ষণ বলে মন্তব্য করে বলা হয়েছে, দশ বছরে দেশে চায়ের উৎপাদনও অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০১০ সালে চা উৎপাদন হতো ৬ কোটি কেজির কাছাকাছি। ২০২০ সালে এসে উৎপাদন ১০ কোটি কেজি ছুঁই ছুঁই করছে। চলতি বছর চায়ের উৎপাদন আরো বাড়বে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলা হয়েছে, ২০২৫ সালে ১২ কোটি ৫০ লাখ কেজি চা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে।
আগামী দুই-চার বছরের মধ্যে বাংলাদেশ ১ কোটি কেজি চা রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা নিয়েও কাজ করছে। চা শিল্পের উন্নয়নে সরকার স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ক্রমান্বয়ে চা চাষের এলাকা বাড়ছে উল্লেখ করে চা বোর্ডের শীর্ষ একজন কর্মকর্তা জানান, চা শিল্পের বিকাশে সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিয়েছে। গত অর্থবছরে ১৯টি দেশে চা রপ্তানি করা হয়েছে। আগামী বছরগুলোতে বিশ্বের নতুন নতুন বাজারে বাংলাদেশের চা প্রবেশ করবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ১২ ইউনিয়নে নৌকার প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বী নেই
পরবর্তী নিবন্ধযাকাত ব্যবস্থাপনার আইনে মন্ত্রিসভার সায়