রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে মারিশ্যা-দিঘিনালা ও পর্যটক নগরী সাজেক সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে সারা দেশের সাথে বাঘাইছড়ি ও সাজেকের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল দশ ঘণ্টা। রাতভর ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে পাহাড়ের মাটি ধসে সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সড়কের দুই পাশে অ্যাম্বুলেন্সসহ ছোট-বড় অনেকগুলো যানবাহন আটকা পড়ে।
গতকাল শনিবার ভোরে ৪, ৯, ১১ ও ১৮ কিলোমিটার এবং সাজেক সড়কের হাউজ পাড়ার উপরের এলাকায় পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। তবে এই ঘটনায় কোনো হতাহতের সংবাদ পাওয়া যায়নি। সংবাদ পেয়ে সেনাবাহিনীর ১২ বীর বাঘাইহাট জোনের সেনা সদস্য ও খাগড়াছড়ি সড়ক বিভাগের লোকজন সড়কের মাটি সরানোর কাজ শুরু করেন। সড়ক বিভাগ বলছে, সড়কের মাটি সরিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক হতে প্রায় ৯-১০ ঘণ্টা সময় লেগেছে।
বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শরিফুল ইসলাম বলেন, রাতে অতিরিক্ত বৃষ্টিপাত ও পাহাড়ি ঢলের কারণে পাহাড়ের বেশ কয়েকটি বড় অংশ সড়কের উপর ধসে পড়েছে। উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে লাল পতাকা দিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী সবুজ চাকমা বলেন, রাতে অতিরিক্ত বৃষ্টির ফলে পাহাড় ধস হয়েছে। বর্ষা মৌসুমে পাহাড়ের মাটি নরম থাকে। তাই মাঝেমধ্যে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। সড়ক যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে বাড়তি প্রস্তুতি নিয়েছি।
ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, মারিশ্যা-দিঘিনালা সড়কের ১১ কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৮-১০টি স্থানে ছোট-বড় মাটি ধসের ঘটনা ঘটেছে। সড়কের বেশ কয়েকটি জায়গায় বড় বড় গর্ত হতে দেখা গেছে। প্রতি বছরই এই সড়কে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটে। ভারী বৃষ্টিপাত হলে আরো বড় ধরনের পাহাড় ধসের আশঙ্কা রয়েছে এসব এলাকায়।