দল বেঁধে আনন্দ ভ্রমণ, শেষ হলো বিষাদে

রুমায় নারী পর্যটকবাহী জিপ খাদে নিহত ২, আহত ১১

বান্দরবান প্রতিনিধি | রবিবার , ২১ জানুয়ারি, ২০২৪ at ৮:০৩ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের রুমা উপজেলার দার্জিলিং পাড়াকেওক্রাডং সড়কে পর্যটকবাহী একটি জিপ খাদে পড়ে দুই নারী ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছেন; আহত হয়েছেন আরও ১১ নারী। গতকাল শনিবার দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানায়, রুমা উপজেলার দার্জিলিং পাড়াকেওক্রাডং সড়কে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পর্যটকবাহী এক জিপ গাড়ি পাহাড়ের গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলে দুই নারী পর্যটকের মৃত্যু হয়। নিহতরা হলেনঢাকা নারীর চোখে বিশ্ব দেখা সংগঠনের ফিরোজা খাতুন (৫০) এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্রিমিনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী জয়নব খাতুন (২৪)

আহতরা হলেনঢাকার বাসিন্দা রাফান (১২), কুমিল্লার বাসিন্দা উষসী নাগ (১৫) ও ডা. জবা রায় (৪৫), কুষ্টিয়ার বাসিন্দা মাহফুজা ইসলাম রুমা (৪৫) ও আমেনা বেগম (৬০), তাহমিনা তানজীম তালুকদার (১৯), তাসনিম (২১), রিজভী (৩৪), আঞ্জুমান হক (৩৫), ইতু (১৬) ও স্বর্ণা (২৩)। এদের মধ্যে পাঁচজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানিয়েছেন বান্দরবান সদর হাসপাতালের চিকিৎসক।

বিডিনিউজ জানায়, হতাহতরা সবাই ঢাকা থেকে ‘ভ্রমণ কন্যা’ নামে একটি ট্যুর গ্রুপের পক্ষ থেকে বেড়াতে এসেছিলেন। গ্রুপটির পরিচালক ছিলেন জয়নব খাতুন।

রুমা থানা পুলিশ জানায়, শুক্রবার ৫৭ জনের একটি নারী পর্যটক দল রুমা কেওক্রাডং পাহাড়ে বেড়াতে যান। সেখানে রাতযাপন করে শনিবার সকালে বগালেক ও রুমা সদরে ফিরছিলেন তারা। ফেরার পথে ১৩ জনকে বহনকারী একটি চান্দের গাড়ি দার্জিলিং পাড়ায় নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গভীর খাদে পড়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই নারী পর্যটক নিহত হন এবং বাকি ১১ জন আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়রা মিলে তাদের উদ্ধার করে রুমা উপজেলা স্থাস্থ্য কমপ্লেঙে ভর্তি করে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আহতদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

রুমার ইউএনও মাহবুবুল হক বলেন, আহতদের চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য সেনাবাহিনী, বিজিবি ও সদর হাসপাতালের অ্যাম্বুলেন্স করে আহতদের বান্দরবান সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এখনও পর্যন্ত এ বিষয়ে মামলা হয়নি।

এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে জেলা সদর হাসপাতালে ছুটে যান বান্দরবান আসনের সংসদ সদস্য বীর বাহাদুর ঊশৈ সিং, জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন ও পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তারা আহতদের চিকিৎসা ব্যাপারে খোঁজ খবর নেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধকক্সবাজার সৈকতে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের সময় হামলা, আটক ২