দল জিতলেও আবারো ব্যাটে বলে ব্যর্থ সাকিব

স্পোর্টস ডেস্ক | সোমবার , ১৮ আগস্ট, ২০২৫ at ৯:১০ পূর্বাহ্ণ

হার দিয়ে ক্যারিবীয়ান প্রিমিয়ার লিগে যাত্রা শুরু করেছিল সাকিবের দল অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস। সে ম্যাচে ব্যাটেবলে ব্যর্থ ছিলেন সাকিব। দ্বিতীয় ম্যাচে এসে তার দল জিতেছে। কিন্তু পারফরম্যান্সের কোন পরিবর্তন হয়নি সাকিবের। প্রথম দুই ম্যাচেই ব্যাটিংবোলিংয়ে ব্যর্থ বাংলাদেশের অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। গতকাল রোববার বারবাডোজ রয়্যালসকে ৬ উইকেট হারিয়েছে অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস। ম্যাচে এক ওভার বোলিং করে সাকিব দিয়েছেন ১৪ রান। পরে ব্যাট হাতে সেই রানটুকুও তুলতে পারেননি। একবার জীবন পেয়েও পরে আউট হয়ে গেছেন ১৩ বলে ১৩ রান করে। টিটোয়েন্টি ক্রিকেটে ৪৯৮ উইকেট নিয়ে এই আসর শুরু করেছেন সাকিব। কিন্তু দুই ম্যাচেও বাড়ল না উইকেট সংখ্যা। বাংলাদেশের প্রথম বোলার হিসেবে ৫০০ উইকেট ছোঁয়ার কীর্তির অপেক্ষাও তাই বাড়ল আরেকটু। সবশেষ পাঁচ ম্যাচে তার উইকেট একটি। সবশেষ ১৬ ইনিংসে করতে পেরেছেন ১টি ফিফটি।

অ্যান্টিগার স্যার ভিভিয়ান রিচার্ডস স্টেডিয়ামে বারবাডোজ রয়্যালস ২০ ওভারে সংগ্রহ করে ১৫১ রান। ওপেনিংয়ে কুইন্টন ডি কক ৪৫ বলে করেন ৫৭ রান। অধিনায়ক রভম্যান পাওয়েল পাঁচে নেমে অপরাজিত থাকেন ২৪ বলে ৫১ রান করে। দুটি করে উইকেট নেন অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডার জেডেন সিলস ও ওবেড ম্যাককয়। অধিনায়ক ইমাদ ওয়াসিম ও এএম গাজানফার নেন একটি করে। ম্যাচের ১৫ তম ওভারে বল হাতে পাওয়া সাকিব প্রথম তিন বলে দেন দুই রান। পরের বলে সুইপ করে চার মারেন ডি কক। পঞ্চম বলে আসে সিঙ্গল। ওভারের শেষ ডেলিভারিতে বিশাল ছক্কায় স্টেডিয়ামের ছাদে বল আছড়ে ফেলেন পাওয়েল। এরপর আর বোলিং পাননি সাকিব।

অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা ফ্যালকনস রান তাড়া করতে নেমে ওপেনার রাকিম কর্নওয়াল ফিরেন ৯ বলে ১০ রান করে। আরেক ওপেনার জুয়েল অ্যান্ড্রুর ব্যাট থেকে আসে ২৫ বলে ২৮ রান। নবম ওভারে অ্যান্ড্রুর বিদায়ের পর চার নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামানো হয় সাকিবকে। একটু পর রিভার্স সুইপে একটি বাউন্ডারি মারেন তিনি মুজিব উর রাহমানকে। পরের ওভারেই জীবন পান তিনি ৮ রানে। জোমেল ওয়ারিক্যানের বলে ক্যাচ দেন ডিপ এক্সট্রা কাভারে, যা নিতে পারেননি শেরফেন রাদারফোর্ড। তবে রানের জন্য হাঁসফাঁস করে শেষ পর্যন্ত মুজিবের বলে বড় শটের চেষ্টায় অভিজ্ঞ এই ক্রিকেটার সহজ ক্যাচ দেন লং অনে। অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডার রান তাড়াও তখন বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। ওই ওভার শেষে ৬ ওভারে তাদের প্রয়োজন পড়ে ৬২ রান। ১৯ ও ৩৭ রানে দুই দফায় জীবন পেয়ে দলের আশা জিইয়ে রাখেন কারিমা গোরে। তাকে কিছুটা সঙ্গ দেন ইমাদ ওয়াসিম। তিন ওভারে যখন প্রয়োজন ৩১ রান। অধিনায়ক ফেরেন ১২ বলে ১৬ রান করে। তবে ওই ওভারেই খেলার মোড় ঘুরিয়ে দেন গোরে। ১৪ বলে ২৬ রানের সমীকরণে ইথান বশকে টানা দুই বলে ছক্কা মেরে দেন যুক্তরাষ্ট্রের এই ব্যাটসম্যান। পরের ওভারের শেষ বলে ড্যানিয়েল স্যামসকে ছক্কা মেরে কার্যত ম্যাচ শেষ করে দেন ফ্যাবিয়ান অ্যালেন। শেষ ওভারে প্রয়োজন পড়ে ছয় রানের। দুই বল বাকি থাকতে জিতে যায় অ্যান্টিগা অ্যান্ড বারবুডা। ৫৩ বলে অপরাজিত ৬৪ রান করে ম্যাচের সেরা কারিমা গোরে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএশিয়া কাপের দলেও নেই বাবর ও রিজওয়ান
পরবর্তী নিবন্ধরাফি স্মৃতি টেবিল টেনিস টুর্নামেন্ট শুরু হচ্ছে কাল