বাংলাদেশ ক্রিকেট দল পাকিস্তান থেকে দেশে ফিরলেও ফিরেননি সাকিব আল হাসান। তিনি চলে গেছেন লন্ডনে। সেখানে কাউন্টি ক্রিকেটে খেলবেন তিনি। কিন্তু সাকিবকে নিয়ে গুঞ্জনের যেন শেষ নেই। কারণ তিনি এখন খুনের মামলার আসামি। তবে বাংলাদেশ দলের সবাই সাকিবের পাশই আছেন। আর সে কথাটা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে যখন দেখা হবে, তখন সুযোগ হলে সাকিব আল হাসানের প্রসঙ্গে কথা বলতে চান নাজমুল হোসেন শান্ত। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের অধিনায়ক দেশের সরকার প্রধানকে জানিয়ে রাখতে চান, দলের সবাই সাকিবের পাশে আছেন। হত্যা মামলা মাথায় নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজটি খেলেছেন সাকিব। ব্যাটে–বলে খুব উজ্জ্বল ছিলেন না তিনি। তবে কিছুটা অবদান রাখতে পেরেছেন দলের জয়ে। প্রথম টেস্টে শেষ দিনে তার তিন উইকেট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিল দলকে জেতাতে। পরের টেস্টের শেষ দিনে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে সাকিবের জুটি দলকে পার করায় শেষের বৈতরণী। সাকিবের বিরুদ্ধে হত্যা মামলাটি দায়ের করা হয় প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনে। ওই টেস্টে জয়ের পর শান্ত এবং দেশের অনেক ক্রিকেটার সাকিবের সমর্থনে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করেন। শুধু পাকিস্তান সফরের দলে থাকা ক্রিকেটাররাই নয়, দলের বাইরে থাকা অনেক ক্রিকেটারকেও দেখা গেছে পোস্ট দিতে। সাকিবের বিরুদ্ধে এটি ‘মিথ্যা মামলা’, ‘মিথ্যা অভিযোগ’, সরাসরি এমন কথাও লিখেছেন ক্রিকেটারদের কেউ কেউ।
টেস্ট সিরিজ শেষে গত বুধবার রাতে দেশে ফেরার পর স্মরণীয় এই সাফল্য নিয়ে নানা প্রশ্নের ফাঁকে সাকিবের মামলার প্রসঙ্গেও শান্তকে জিজ্ঞেস করা হলো বিমানবন্দরে। বিজয়ী দলকে অভিনন্দন জানিয়ে সংবর্ধনা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা। শান্ত বললেন, সেখানে সুযোগ পেলে সাকিবের কথা বলবেন তিনি। সাকিব ভাইয়ের ব্যাপারটি ভিন্ন একটি ব্যাপার। তবে প্রত্যেক খেলোয়াড় সাকিব ভাইয়ের পাশে আছে। এটা আমরা সবাই জানি যে, সাকিব ভাই খেলার জন্য কতটা নিবেদিত এবং খেলার জন্য কতটা পাগল। সবসময় দলের জন্য চিন্তাভাবনা করে থাকেন। যখন দেখা হবে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তখন তাকে জানানোর চেষ্টা করব প্রতিটি খেলোয়াড় সাকিব ভাইয়ের পাশে আছে। গত ৫ আগস্ট আদাবরে গার্মেন্টসকর্মী রুবেল হত্যার ঘটনায় তার বাবা রফিকুল ইসলামের দায়ের করা মামলায় ১৫৬ জন আসামির তালিকায় ২৮ নম্বরে আছে সাকিবের নাম। পরে এই অলরাউন্ডারকে দল থেকে বাদ দিয়ে দেশে ফিরিয়ে আনতে উকিল নোটিস পাঠানোর কথা জানান একজন আইনজীবী। এর কয়েক দিন পর সাকিবের সম্পদের অনুসন্ধান করতে দুর্নীতি দমন কমিশনে চিঠি পাঠান এক আইনজীবী। মিলহানুর রহমান নাওমী নামের সেই আইনজীবী তখন বলেন সাকিব আল হাসান অপকর্মের সঙ্গে সরাসরি জড়িত। তার বিরুদ্ধে অসংখ্য দুর্নীতির অভিযোগ রয়েছে। শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারি ও স্বর্ণ চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত মর্মে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আছে। সাকিব শত শত কোটি টাকার কর ফাঁকি দিয়েছেন এমন অভিযোগও করেন এই আইনজীবী।