নিউজিল্যান্ডকে হারানোর একেবারে দ্বারপ্রান্তে বাংলাদেশ। আর দলের এই জয়ে সবচাইতে বেশি ভূমিকা যার তিনি তাইজুল ইসলাম। এই টেস্টেও আট উইকেট নিয়ে দলের সেরা বোলার তাইজুল। আজ সে সংখ্যাটা আরো বাড়তিে পারে। তার কাছে প্রশ্ন ছিল এই টেস্টে সাকিব আল হাসান না থাকলে তার ভূমিকা কি হতো। উত্তরে দলের ভালো খেলাটাই জরুরি বলছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। তাইজুলের সঙ্গে সবমিলিয়ে ২৪ ম্যাচে খেলেছেন তিনি। এর মধ্যে দুই ইনিংস বেশি বল করে ৯৩ উইকেট নিয়েছেন তিনি। সাকিবের উইকেট একটি বেশি। সাকিব খেলেননি এমন ১৯ ম্যাচে তাইজুল নিয়েছেন ৯২ উইকেট। সাকিব না থাকলেও দলের পরিকল্পনা অনেকটা একই থাকে বলে জানালেন তাইজুল। তিনি বলেন আরেকজনেরটা তো আমি করতে পারবো না। আরেকজন আবার আমারটা করতে পারবে না। আমি আমার পরিকল্পনায় থাকি। সাকিব ভাই থাকুক আর না থাকুক, আমার সাথে আরও স্পিনাররা আছে। গেম বাই গেম পরিকল্পনা এরকম হয়। কেউ উইকেট নেবে, কেউ রান আটকে রাখবে। আমি রান আটকালে হয়তো মিরাজ বা নাঈম উইকেট পেত। যে থাকুক আর না থাকুক, আমরা ভালো খেলছি কি না এটাই জরুরি। প্রায় ৯ বছর ধরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পথচলা তাইজুল ইসলামের। নিয়মিত অন্তত লাল বলের ক্রিকেটে পারফর্মও করছেন তিনি। এখন দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের একজন। তবুও কি দলে যথেষ্ট গুরুত্ব পান তাইজুল? জবাবে তিনি বলেন খুশি অখুশির কিছু নাই। অবশ্যই একজন খেলোয়াড় যখন ৮–১০–১২ বছর খেলে তখণ অবশ্যই অভিজ্ঞতা থাকে। ক্রিকেটে এই অভিজ্ঞতা অনেক কাজে লাগে। অধিনায়ক কোচের উপর নির্ভর করে আমাকে কতটা প্রায়োরিটি দিচ্ছে। প্রায়োরিটি দিলে অবশ্যই চেষ্টা করব সাহায্য করার। সবসময় আমার দরজা খোলা। যেকোনো দরকার হলে আমি করব। প্রায়োরিটি পাই না তাই না। পাই। অনেকে অনেক সময় বলে কি করা যায়। আমি পরামর্শ দেওয়ার চেষ্টা করি। তাইজুল বলেন আমাদের লক্ষ্য সব সময় বড় থাকে। কিন্তু সব লক্ষ্যতো আর পুরন হয়না। তাই এখন চাওয়া হচ্ছে আমরা যদি টেস্টে ৩,৪ বা ৫ এর মধ্যে থাকতে পারি। তাছাড়া বড় দলকে হারানোর মজাই আলাদা। নিউজিল্যান্ড নিশ্চয়ই বড় দল। মাত্র এক বছর আগে তারা বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়ন ছিল। কাজেই তাদের হারাতে পারলে সেটা আমাদের জন্য গৌরবের হবে।