আসন্ন উপজেলা নির্বাচনে এবার কাউকে দলীয় প্রতীক বরাদ্দ (নৌকা) দেয়া হবে না বলে আওয়ামীলীগ থেকে জানিয়ে দেয়া হয়েছে। দল থেকে যে কেউ নির্বাচন করতে পারবেন। প্রধানমন্ত্রী তৃণমূলের নেতাদের সাথে গণভবনে বৈঠকে এই ঘোষণা দেন। প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার পর সারাদেশে মাঠ পর্যায়ে আওয়ামীলীগের তৃলমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে প্রাণসঞ্চার হয়েছে। তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মনে করেন, এতদিন স্থানীয় সরকার নির্বাচনে, বিশেষ করে ইউপি চেয়ারম্যান, উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর নির্বাচনে দল থেকে নৌকা প্রতীক দেয়ার কারণে মনোনয়নপ্রাপ্তরা তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সাথে তেমন যোগাযোগ রাখত না। তারা শুধু নৌকা প্রতীক পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠতেন। কেন্দ্রে যোগাযোগ–তদ্বির এগুলো নিয়ে ব্যস্ত থাকতেন। এই নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ আর অসন্তোষ বিরাজ করছিল। গত ১০ ফেব্রুয়ারি গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের তৃণমূলের নেতাদের উদ্দেশ্যে বক্তব্যে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট বিভেদ ভুলে দলের নেতাকর্মীদের একসঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানান। সভায় প্রধানমন্ত্রী এবারের উপজেলা নির্বাচনে দলীয় প্রতীক কাউকে দেয়া হবে না বলে জানিয়ে দেন। বলেন, দল থেকে প্রার্থীও দেয়া হবে না।
প্রধানমন্ত্রীর এমন ঘোষণার পর মাঠ পর্যায়ে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কদর বেড়েছে। এখন সম্ভাব্য উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থীরা এলাকায় এলাকায় তৃণমূলের নেতাকর্মী এবং সাধারণ ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন–আস্থা অর্জনের জন্য নানা ভাবে চেষ্টা করছেন।
চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার তৃণমূলের ভোটারদের সাথে কথা হলে হলে তারা আজাদীকে বলেন, এবার দল থেকে কাউকে নৌকা প্রতীক দেয়া হবে না বলে ঘোষণা দেয়ার পর সম্ভাব্য প্রার্থীরা এখন এলাকায় এলাকায় আমাদের কাছে আসছেন। সবার মধ্যে ভোটারদের আস্থা অর্জনের একটা চেষ্টা দেখা যাচ্ছে।
ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশন আগামী ৪ মে থেকে ২৫ মে পর্যন্ত চার ধাপে বৃহত্তর চট্টগ্রামের ৪৮টি উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করেছে।
নির্বাচন কমিশনের সময়সূচি অনুযায়ী প্রথম ধাপে আগামী ৪মে চট্টগ্রামের ৩টিসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের (চট্টগ্রাম, কঙবাজার, রাঙামাটি, বান্দরবান ও খাগড়াছড়ি জেলা) ১৯টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দ্বিতীয় ধাপে ১১ মে চট্টগ্রামের ৪টিসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামের ১৬টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এদিকে ১৮মে তৃতীয় ধাপে চট্টগ্রামের ৪টিসহ বৃহত্তর চট্টগ্রামে ১১টি উপজেলায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। অপরদিকে ২৫ মে চতুর্থ ধাপে শুধুমাত্র চট্টগ্রামে ২টি উপজেলা বাঁশখালী এবং লোহাগাড়ায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সাতকানিয়া এবং কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে পরবর্তী ধাপে।