বহিরাগত লোকজন নিয়ে চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর বিষয়ে ডায়াবেটিক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক সৈয়দ মাহবুবুল হক গত বুধবার ‘সন্তোষজনক’ ব্যাখ্যা চেয়ে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীকে চিঠি দেন। এতে ৫ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়।
চিঠিতে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর হাসপাতালে অভ্যন্তরে ঢুকে আইন–শৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। এজন্য মৌখিকভাবে সতর্ক করা হয়েছিল। তারপরও তিনি তার দলবল নিয়ে ৬ নভেম্বর হাসপাতালের অভ্যন্তরে আইন–শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর চেষ্টা চালিয়ে যান। যা অনাকাঙ্ক্ষিত ও অনভিপ্রেত। এতে করে জেলা প্রশাসনের ভাবমূর্তি চরমভাবে ক্ষুণ্ন হচ্ছে।
চিঠিতে বলা হয়, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতালের আজীবন সদস্যবৃন্দ, ডাক্তার ও কর্মকর্তা–কর্মচারীদের আন্দোলনের প্রেক্ষিতে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার আশংকা থাকায় হাসপাতালের আইনশৃঙ্খলা রক্ষা ও রোগীদের সেবা কার্যক্রম অব্যাহত রাখার স্বার্থে জেলা প্রশাসক একটি আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে দেন।
চিঠিতে বলা হয়, সমাজসেবা অধিদপ্তরাধীন নিবন্ধিত সংস্থা ‘চট্টগ্রাম ডায়বেটিক সমিতি’–এর বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২০২৩ সালের ২৫ জানুয়ারি তৎকালীন কার্যকরী কমিটিকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এছাড়া বিভাগীয় সমাজসেবা কার্যালয় অতিরিক্ত পরিচালককে প্রশাসক নিয়োগ করা হয়। এর বিরুদ্ধে রিট পিটিশন (নম্বর ১৬১০/ ২০২৩) দায়ের করা হলে হাইকোর্ট থেকে ২০২৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি ৬ মাসের একটি স্টে অর্ডার পাওয়া যায়, পরবর্তীতে যেটি ৬ মাস থেকে ১ বছর বর্ধিত করা হয় বলে জানা যায়। তবে এ সংক্রান্ত কোনো আদেশের কপি বিজ্ঞ আদালত থেকে পাওয়া যায়নি। জেলা প্রশাসনে সংরক্ষিত নথি অনুযায়ী চট্টগ্রাম ডায়বেটিক সমিতি–এর সর্বশেষ অনুমোদিত কমিটি গত ২০১৫ সালের ৩১ ডিসেম্বর মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এরপর অদ্যবদি কোনো কমিটি অনুমোদন নেই।