দর্শকদের সুরের মূর্চ্ছনায় ভাসালেন রাহাত ফতেহ আলী খান

বললেন ‘বাংলাদেশ তোমায় ভালোবাসি’

| রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১০:১৭ পূর্বাহ্ণ

আর্মি স্টেডিয়ামে তখন হাজারো দর্শক অপেক্ষায়। পাকিস্তানের সুফি সংগীতের জনপ্রিয় শিল্পী রাহাত ফতেহ আলী খান মঞ্চে এলেন ছেলে শাহবাজ ফতেহ আলী খানকে সঙ্গে নিয়ে; ঢাকার দর্শকদের ভাসালেন সুরের মূর্চ্ছনায়। ‘ইকোস অব রেভল্যুশন’ কনসার্টে গাইতে গতকাল রাত ৯টা ৫০ মিনিটে মঞ্চে ওঠে রাহাত ফতেহ আলী খান ও তার দল। ‘তেরি মেরি’ গানের সুরে সেতার ও সানাই পরিবেশনার মধ্য দিয়ে শুরু হয় পরিবেশনা। সেই পরিবেশনা শেষে রাহাত ফতেহ আলী বলেন, ‘বাংলাদেশ আমি তোমায় ভালোবাসি। পাকিস্তান থেকে তোমাদের ভালোবাসায় চলে এলাম।’ খবর বিডিনিউজের।

এরপর ‘সাজনা তেরি বিনা’, ‘নিত কেহার মাঙ্গা’, ‘ওরে প্রিয়া, তেরি আঁখো কী দড়িয়া কা’, ‘তেরে রাশকে কামার’ গানে মাতিয়ে তোলেন দর্শকদের। উপমহাদেশের সংগীত কিংবদন্তি নুসরাত ফতেহ আলী খানের ভাতিজা রাহাত তার জনপ্রিয় বিভিন্ন গজলও পরিবেশনা করেন। জুলাইঅগাস্টের অভ্যুত্থানে নিহতআহতদের পরিবারকে সহায়তার জন্য এই চ্যারিটি কনসার্টএর আয়োজন করেছে ‘স্পিরিটস অব জুলাই’ নামের একটি প্ল্যাটফর্ম। গতকাল শনিবার বিকাল ৪টা থেকে আর্মি স্টেডিয়ামে শুরু হয় কনসার্ট। জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক সারজিস আলম শুরুতে ঘোষণা দেন, কনসার্টের সামনের সারিতে ভিআইপি আসনে থাকবেন অভ্যুত্থানে আহত ১০০ জন দর্শক। কনসার্টের ভিআইপি অতিথি হিসেবে আসন গ্রহণ করবেন তারা। এরপর মঞ্চে ওঠে ব্যান্ড দল সিলসিলা। তাদের আধা ঘণ্টার পরিবেশনা শেষে ‘আওয়াজ উডা’ গানের জন্য শিল্পী র‌্যাপার হান্নান মঞ্চে আসেন। হান্নানের পর ‘কথা ক’ গান দিয়ে দর্শক মাতান র‌্যাপার সেজান। বিরতির পর সাড়ে ৫টার দিকে মঞ্চে ওঠে রক ব্যান্ড আফটারম্যাথ। আর্মি স্টেডিয়ামে এটাই তাদের প্রথম কনসার্ট। পরিবেশনা শুরু হয় অধিকারগান দিয়ে। তারপর ‘উৎসর্গ’, ‘মাটির রোদ’সহ আরও কয়েকটি গান পরিবেশন করে দলটি। রক গানের উন্মাদনার পর সন্ধ্যা ৬টার দিকে মঞ্চে ওঠেন ব্যান্ডদল চিরকুট। ধন ধান্যে পুষ্পে ভরাগানটি দিয়ে শুরু করে প্রায় এক ঘণ্টার মত পরিবেশনায় তারা শোনান দুনিয়া‘, ‘মরে যাবো‘, ‘জাদুর শহরে‘, ‘কানামাছি‘, ‘আহারে জীবনসহ আটটি গান।

চিরকুটের পরিবেশনা শেষে অভ্যুত্থানে আহতদের নিয়ে মঞ্চে ওঠেন সারজিস আলম। ‘আমি কে তুমি কে’ স্লোগানসহ আধা ঘণ্টার বক্তব্যপর্ব চলে। সেখানে শেখ হাসিনার বিচার দাবি করা হয়। হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়, ‘যে কোনো ষড়যন্ত্র’ মোকাবিলায় প্রয়োজনে আবারও আন্দোলন গড়ে তোলা হবে। এ কনসার্ট থেকে পাওয়া অর্থ যাবে শহীদ জুলাই স্মৃতি ফাউন্ডেশনে। বিনা পারিশ্রমিকে গান গাওয়ায় কনসার্টে আসা শিল্পীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান সারজিস।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমব্রেলা একাডেমির বার্ষিক স্পার্ক এ্যান্ড শাইন ফেস্ট
পরবর্তী নিবন্ধঅর্থনীতিতে ৫টি বড় চ্যালেঞ্জ দেখছেন হোসেন জিল্লুর