দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে

চবিতে গোল টেবিল বৈঠকে বক্তারা

আজাদী প্রতিবেদন | রবিবার , ২২ ডিসেম্বর, ২০২৪ at ১০:৪৭ পূর্বাহ্ণ

চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের জন্য দক্ষ মানবসম্পদ গড়তে কারিগরি শিক্ষার প্রতি গুরুত্ব দিতে হবে। দেশের সার্বিক উন্নয়নে প্রয়োজন রীতিবদ্ধ ও সুসংগঠিত শিক্ষা ব্যবস্থাপনা যেখানে তাত্ত্বিক, প্রায়োগিক জ্ঞান অর্জন খুব জরুরি। পরিকল্পিতভাবে মানবসম্পদ উন্নয়ন দেশের অর্থনৈতিক ভিত্তিকে মজবুত করে। এজন্য আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে কর্মমুখী করে ঢেলে সাজাতে হবে। গতকাল শনিবার ‘বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কেমন মানবসম্পদ চাই’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন বক্তারা।

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় সেন্টার ফর বিজনেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিইউসিবিএ) অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সুলতান আহমেদ হলে এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। সভায় চবি শিক্ষক, বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের কর্পোরেট কর্মকর্তা, ব্যাংক কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মী ও শিক্ষার্থীরা মানবসম্পদ উন্নয়নে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেন।

সিইউসিবিএ অ্যালমনাই অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ব্যাংকার মোহাম্মদ ইউসুফের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে আলোচনা সভায় অংশ নেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের ডিন প্রফেসর এস এম নসরুল কদির, সিইউসিবিএর পরিচালক ড. মোহাম্মাদ তৈয়ব চৌধুরী, সিইউসিবিএ অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সজীব কুমার ঘোষ ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মানবসম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের সভাপতি প্রফেসর ড. মো. আফতাব উদ্দিন।

সভায় আরও অংশ নেন চবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের যুগ্মসম্পাদক কামরুল হাসান হারুন, কর্পোরেট ব্যক্তিত্ব জহির উদ্দিন, মো. রাশেদুল আমিন, আরিফ আহমেদ, সঞ্জয় কুমার ঘোষ, একেএম মাফরুল হক, আরিফুর রহমান, নোমান বিন জহির উদ্দিন ও গাজী মো. মাইনুদ্দিন প্রমুখ।

সভায় বক্তারা বলেন, যোগাযোগ দক্ষতা, কম্পিউটার দক্ষতা, নৈতিকতা, বিশ্লেষণ ক্ষমতা, সব সেক্টরে নিজেকে খাপ খাওনোর মতো মানসিক শক্তি থাকতে হবে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণ করা শিক্ষার্থীদের। বর্তমানে আমাদের দেশে একটি উচ্চ শিক্ষিত প্রজন্ম তৈরি হয়েছে। তবে দক্ষ মানবসম্পদ সৃষ্টি হয়নি। এজন্য পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত ও শ্রীলঙ্কা থেকে অভিজ্ঞদের নিয়ে এসে বিশাল অঙ্কের বেতন দিয়ে রাখতে হচ্ছে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে। প্রায়োগিক জ্ঞান না থাকলে শুধুমাত্র তত্ত্বীয় জ্ঞান দিয়ে চাকরির বাজারে ভালো করা যাবে না। এজন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রমে কর্মমূখী শিক্ষার প্রতি গুরুত্বারোপ করতে হবে। তারা বলেন, উন্নয়ন মূলত মানুষকেন্দ্রিক। একটি দেশ যতক্ষণ তার বস্তুগত সম্পদ ও সম্ভাবনাকে কাজে লাগাতে না পারবে ততক্ষণ পর্যন্ত এ ক্ষেত্রে কোনো সুফল পাওয়া যাবে না। তাই দেশের তরুণ জনগোষ্ঠীকে কর্মমুখী শিক্ষার মাধ্যমে দক্ষ করে গড়ে তুলতে আমাদের। দক্ষ জনশক্তি সৃষ্টি করতে পারলে বাংলাদেশে আর বেকারত্ব থাকবে না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইনসাফভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণমানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করতে হবে
পরবর্তী নিবন্ধহরিণখাইনে শীতবস্ত্র পেল ১০০০ অসহায় দরিদ্র মানুষ