দক্ষিণ জেলা যুবলীগের এক কমিটিতেই দশ বছর পার

সমন্বয়হীনতায় চলছে সাংগঠনিক কার্যক্রম

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২০ at ৩:৫১ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের তিন বছর মেয়াদের কমিটির বয়স এখন ১০ বছর। অনেকটা সমন্বয়হীনতায় খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছে কার্যক্রম। যারফলে সাংগঠনিক কার্যক্রমে পড়েছে ভাটা। করোনাকালীন সব রাজনৈতিক সহ সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনগুলো মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ালেও সমন্বয়হীনতা ও দ্বন্দ্বের কারণে দক্ষিণ জেলা যুবলীগ সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন একাধিক যুবলীগ নেতা। ইতোমধ্যে নতুন কমিটির আশায় আশায় সম্ভাব্য পদ প্রত্যাশীরাও হতাশ হয়ে পড়েছেন। বর্তমান কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকও দক্ষিণ জেলার সাংগঠনিক কার্যক্রমে চরম হতাশ বলে খবর পাওয়া গেছে। জেলার আওতাধীন উপজেলা-পৌরসভা কমিটির পরিবর্তন হলেও পরিবর্তন হয়নি জেলা কমিটি। বিভিন্ন উপজেলা ও পৌরসভা কমিটির অনুমোদন দেয় যে জেলা কমিটি তারাই মেয়াদোত্তীর্ণ।
খবর নিয়ে জানা গেছে, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সর্বশেষ কমিটি গঠন করা হয় ২০১০ সালে। পরবর্তীতে ৭১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন দেয়া হয় কেন্দ্র থেকে। এরপর কয়েকবার নতুন কমিটি গঠনের গুঞ্জন শোনা গেলেও তা আর হয়নি। বর্তমানে দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি আ.ম.ম. টিপু সুলতান চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক পার্থসারথি চৌধুরীসহ কয়েকজন সাংগঠনিক কার্যক্রম নিয়ে তৎপর থাকলেও কমিটির অধিকাংশ নেতা নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছেন। অনেকে ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। দক্ষিণ জেলা যুবলীগের বেশ কয়েকজন নেতা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, করোনাকালীন সময়ে আমরা নিজ নিজ উদ্যোগে যতটুকু পেরেছি সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছি। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে দক্ষিণ জেলা যুবলীগ সাধারণ মানুষের পাশে ছিল না। দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের মধ্যে সমন্বয়হীনতা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। দক্ষিণ চট্টগ্রামের মধ্যে শুধুমাত্র বোয়ালখালী উপজেলা, কর্ণফুলী এবং পটিয়া পৌরসভা ছাড়া আর কোথাও গত দশ বছরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি করতে পারেনি জেলা কমিটি। আর সবগুলো সম্মেলন ছাড়া কেন্দ্র থেকে আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হয়েছে।
বছরের পর বছর নতুন কমিটির আশায় আশায় থেকে কয়েক প্রজন্ম হতাশ হয়ে পড়েছে। দলের ত্যাগী নেতাকর্মীরা এখনই দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটি চান।
দক্ষিণ জেলা যুবলীগের বর্তমান কমিটির এক সহ সভাপতি আজাদীকে জানান, বর্তমান কমিটির শীর্ষ কর্মকর্তা থেকে শুরু করে অনেকেই আর যুবলীগ করতে চান না। একনাগাড়ে দশ বছর কমিটিতে থাকতে থাকতে অনেকে নিজ থেকেই নতুন কমিটি গঠনের দাবি করেছেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধহরিণ ধরার ফাঁদে পড়ে কৃষকের মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধ‘মামলার খরচ’ চালাতে চাঁদাবাজি, ফের গ্রেপ্তার ভোলা