চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির কেন্দ্র ঘোষিত নবগঠিত কমিটিতে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দিয়ে কমিটি করার প্রতিবাদ করেছেন পদ বঞ্চিতরা। তারা সদ্য ঘোষিত কমিটি বাতিল করে নতুন কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন। গতকাল রবিবার বিকেলে পটিয়া প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করেন নেতৃবৃন্দ। এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দক্ষিণ জেলা জাপার সাবেক শ্রম ও সমাজকল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক ও বর্তমান পটিয়া পৌরসভা কমিটির সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক আহমদ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আলী আকবর চেয়ারম্যান, জাপা নেতা সাংবাদিক সেলিম চৌধুরী, মাহবুর রহমান, রূপেশ সরকার, দিদারুল আলম, ফরিদ আহমদ চৌধুরী, আবদুস ছত্তার সওদাগর, নুরুল ইসলাম, এমরান মিয়া, আনিস, মামুন প্রমুখ।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ তুলে বলেন, গত ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের এমপি ও মহাসচিব মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি স্বাক্ষরিত চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টি সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি অনুমোদন দেন। কিন্তু সদ্য ঘোষিত কমিটিতে জাতীয় পার্টির প্রয়াত চেয়ারম্যান হুসেইন
মুহাম্মদ এরশাদ ও জাপা চট্টগ্রাম দক্ষিণ জাপার সভাপতি প্রায়ত শামসুল আলম মাস্টারের অনুসারী দুঃসময়ের দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের বাদ দেয়া হয়েছে। ঘোষিত ১২৫ সদস্যের কমিটিতে দক্ষিণ জেলার অসংখ্য নেতাকর্মীকে বাদ দেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে লিখিত বক্তব্যে তারা আরো বলেন, দক্ষিণ জেলার
জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক নুরুচ্ছফা সরকার পটিয়ার জিরি ইউনিয়নের বাসিন্দা ইউনুচ ও কামাল হত্যা মামলা, জাল টাকা বানানোর সরঞ্জামসহ একাধিকবার গ্রেপ্তার হন। তার বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিরও অভিযোগ রয়েছে। এই কমিটিতে মৃত মানুষকে রাখা হয়েছে, যেমন কমিটির ৩২নং সদস্য রমজান মুন্সি ও ৯৫নং সদস্য
মোহাম্মদ আলী বর্তমানে মৃত। জসিম উদ্দিন সিকদার, দুলা মিয়া মেম্বার, রুবেল খান, হাজী নুরুল ইসলাম, কাজী মজিবুর রহমান এদেরকে একাধিক জায়গায় সদস্য করা হয়েছে। কমিটিতে নিজে আহ্বায়ক আবার তার ছেলে ৮১নং সদস্য ফরিদ উদ্দিন সরকার, অফিসের পিয়ন আবদুল হাকিম ৬০নং সদস্য রাখা
হয়েছে। আবার কর্ণফুলী আওয়ামী লীগের ৪৩নং সাইফু উদ্দিন মানিক মেম্বারকে সদস্য করারও অভিযোগ করা হয়। বর্তমান জাপা আহ্বায়ক নুরুচ্ছফা সরকার ২০১৮ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লাঙ্গল প্রতীকে ২৫২ ভোট পেয়ে দলকে কলঙ্কিত করেছেন উল্লেখ করে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, এই ধরনের অযোগ্য
নেতৃত্ব, অজনপ্রিয় লোককে দক্ষিণ জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক করায় তৃণমূল, ত্যাগী নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে। অবিলম্বে এই কমিটি থেকে নুরুচ্ছফা সরকারকে আহ্বায়কের পদ হতে বাদ দিয়ে ত্যাগী ও তৃণমূল নেতাকর্মীদের নিয়ে নতুন কমিটি করার জোর দাবি জানান নেতাকর্মীরা।
