সড়কে শৃঙ্খলা আনা, সড়ক দুর্ঘটনা প্রতিরোধসহ একাধিক দাবিতে চট্টগ্রাম– কক্সবাজার– টেকনাফ–বান্দরবান সড়ক ও উপ–সড়কে আজ বুধবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চল–কক্সবাজার–বান্দরবান জেলা সড়ক পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। সভায় এক প্রস্তাবে সকল ধরনের উস্কানিমূলক কর্মকাণ্ডের ব্যাপারে সতর্ক থাকা, ধর্মঘট চলাকালীন সড়ক ও উপসড়কে পিকেটিং, হঠকারি কাজের সাথে যুক্ত না হওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়। ধর্মঘট সফল করার লক্ষ্যে গতকাল সভা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন আহ্বায়ক খোরশেদ আলম। সদস্য সচিব মো. মহিউদ্দিন চৌধুরী ধর্মঘটের বিষয়ে আলোচনা করেন। বক্তব্য রাখেন সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ মুছা, উপদেষ্টা মৃণাল চৌধুরী, হাজী মো. ইউনুছ কোম্পানী, অলি আহামদ, নবাব মিয়া, আবুল কালাম আবু, হাবিবুর রহমান চৌধুরী, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, মোবারক হোসেন, জাফর উদ্দিন চৌধুরী, মো. ফারুক, সোহেল মো. মঞ্জু ও নুরুল কবির।
চট্টগ্রাম–কক্সবাজার–টেকনাফ–বান্দরবান সড়ক ও পিএবি বাঁশখালীসহ চট্টগ্রাম দক্ষিণাঞ্চলের ৩ জেলা ও উপজেলার সড়ক ও উপসড়কে দুর্ঘটনা প্রতিরোধ, সড়কে শৃক্সখলা আনা, বিআরটিএর অনুমোদন ব্যতীত বাস চট্টগ্রাম–কক্সবাজার–টেকনাফ অপ্রশস্ত রোডে চলাচল নিষিদ্ধ করা, বহিরাগত এসি/নন এসি বাস রুট পারমিটের শর্ত ভঙ্গ করে লোকাল রুটের যাত্রী বহনের কারণে গাড়িতে গাড়িতে অসম প্রতিযোগিতা বন্ধ করা, সড়ক–মহাসড়ক–উপসড়কের দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির জন্য দায়ী ইজিবাইক, ব্যাটারি রিকশা, টমটম, অবৈধ থ্রি হুইলার সিএনজি চলাচল নিষিদ্ধ করা, হাইওয়ের আইন মোতাবেক রাস্তার উভয় পাশের অবৈধ স্থাপনা হাট–বাজার সরিয়ে নেওয়া, ঢাকা ও চট্টগ্রামে একই ট্রাফিক আইনে দ্বিগুণ জরিমানার বৈষম্য দূরী করা, বহদ্দারহাট আঞ্চলিক বাস টার্মিনাল সংস্কার ও নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ, খোলা ট্রাকে লবণ পরিবহন নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন, রিকুইজিশনের মাধ্যমে ২ জেলায় রুট পারমিটধারী বাস মিনিবাস কোচ দেশের প্রত্যন্ত এলাকা ও উপজেলায় পাঠানোর নামে রিকুইজিশন বাণিজ্য বন্ধ, কক্সবাজার পৌর বাস টার্মিনালে ময়লা–আবর্জনার স্তূপ অবিলম্বে পরিষ্কার করার দাবিতে আজকের পরিবহন ধর্মঘট বাস্তবায়নে মালিক ও শ্রমিকদের প্রতি আহ্বান জানান বক্তারা।