সম্প্রতি টানা ভারী বর্ষণে দক্ষিণ চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলায় সৃষ্ট বন্যায় প্রচুর সবজি ক্ষেত পানিতে তলিয়ে গেছে। চট্টগ্রাম নগরীর বাজারগুলোতে চন্দনাইশ, পটিয়া, সাতকানিয়া ও বাঁশখালী থেকে সবজি আসে। তবে বর্তমানে ওইসব এলাকা থেকে সবজি আসছে না বলছেন বিক্রেতারা। তাই সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের সবজির দাম কেজিতে প্রায় ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। এছাড়া সবজি ছাড়া মাছের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। তবে স্থিতিশীল রয়েছে ব্রয়লার, ডিম ও মাংসের বাজার। গতকাল নগরীর কাজীর দেউড়ি ও বেটারি গলি কাঁচা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে বাজারে চিচিঙ্গা বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০ টাকায়। পটল ৫০–৬০ টাকা, ঢেঁড়স ৬০–৭০ টাকা, কচুর লতি ৫০–৬০ টাকা, পেঁপে ৪০–৫০, আলু ৩৫–৪০ টাকা, বরবটি ৭০–৮০ টাকা, শসা বিক্রি হচ্ছে ৬০–৭০ টাকায়। এছাড়া দেশী টমেটো বিক্রি হচ্ছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়। অপরদিকে কাঁচা মরিচের কেজি বিক্রি হচ্ছে ২২০–২৪০ টাকায়। শিম ১৫০ থেকে ১৬০ টাকা, কাকরল ৬০–৭০ টাকা, চাল কুমড়া প্রতিটি বিক্রি হচ্ছে ৫০–৬০ টাকা, লাউ প্রতিটি আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৪০–৫০ টাকায় এবং মিষ্টি কুমড়া কাঁচা বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা এবং পাকা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়।
কাজীর দেউড়ি বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আজম বলেন, বৃষ্টির কারণে সবজির সরবরাহ কম। তাই দাম একটু বাড়তি। এছাড়া দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলাগুলো থেকে কয়েক সপ্তাহ ধরে চাহিদার তুলনায় সবজি কম আসছে।
এদিকে মাছের বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে রুই মাছ বিক্রি হচ্ছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়, কাতল মাছ ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়, চিংড়ি মাছ ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা, কাচকি মাছ ৪০০ থেকে ৪৫০, টেংরা মাছ ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা, কৈ মাছ ২০০ থেকে ২৫০, পাবদা মাছ ৪৫০ থেকে ৫০০ টাকা, পাঙ্গাস মাছ ১৮০–১৯০ টাকা, তেলাপিয়া মাছ ২৭০–২৮০ টাকা এবং শিং মাছ বিক্রি হচ্ছে ৫৫০–৬৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
অন্যদিকে বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে ১৭০–১৭৫, দেশী মুরগি ৫০০–৫৫০ টাকা এবং গরুর মাংস ৭৫০–৮০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মুরগি ডজন বিক্রি হচ্ছে ১৬০ থেকে ১৬৫ টাকায়।
কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এসএম নাজের হোসনে বলেন, কাঁচাবাজারে প্রশাসন শুধুমাত্র রমজান মাস এলে অভিযান পরিচালনা করে। সেই সুযোগে বিক্রেতারা এক ফোঁটা বৃষ্টি পড়লেও সেই অজুহাতে দাম বাড়িয়ে দেন। এবার দক্ষিণ চট্টগ্রামের বন্যার কারণে স্থানীয় সবজি সরবরাহ ব্যাহত হয়েছে, এটি আছে। কিন্তু উত্তরাঞ্চল থেকে সবজি সরবরাহ কিন্তু স্বাভাবিক আছে। এখান ব্যবসায়ীরা বলছেন, বন্যার কারণে সবজি নষ্ট হয়ে গেছে।