সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের কোনো দেশে পবিত্র শাওয়াল মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। আগামীকাল বৃহস্পতিবার সেখানে ঈদ উল ফিতর উদযাপন করা হবে বলে জানিয়েছে আমিরাতভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম খালিজ টাইমস। এদিকে সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে দক্ষিণ চট্টগ্রামের অর্ধ-শতাধিক গ্রামেও আগামীকাল ঈদ উদযাপন করা হবে।
সাতকানিয়ার মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদরা সৌদি আরবের সাথে মিল রেখে একদিন আগে থেকে রোজা পালন শুরু করেছিলেন। সেই অনুযায়ী আজ বুধবার ত্রিশটি রোজা পূর্ণ হবে তাদের। অন্যান্য বছর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে মুরিদরা ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য দরবার শরীফে চলে আসতেন।
কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে এবার বাইরের মুরিদদের নিজ নিজ এলাকায় ঈদের নামাজ আদায়ের জন্য বলা হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মির্জারখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক ও দরবার শরীফের মুরিদ বজলুল করিম চৌধুরী।
তিনি জানান, আগামীকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টায় দরবার শরীফের মসজিদে ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে। দরবার শরীফের পীর হযরত মাওলানা মোহাম্মদ আরেফুল হাইয়ের বড় ছেলে মুফতি মাওলানা মো. মকছুদুর রহমান ঈদের নামাজ পড়াবেন বলে জানা গেছে।
মির্জারখীল দরবার শরীফ সূত্রমতে, সাতকানিয়ার মির্জারখীল, এওচিয়ার গাটিয়াডেঙা, মাদার্শা, খাগরিয়ার মৈশামুড়া, পুরানগড়, চরতির সুইপুরা, চন্দনাইশের কাঞ্চননগর, হারালা, বাইনজুরি, কানাই মাদারি, সাতবাড়িয়া, বরকল, দোহাজারী, জামিরজুরি, বাঁশখালীর কালিপুর, চাম্বল, শেখেরখীল, ছনুয়া, আনোয়ারার বরুমছড়া, তৈলারদ্বীপ, লোহাগাড়ার পুটিবিলা, কলাউজান, বড়হাতিয়া এবং পটিয়া, বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, রাউজান ও ফটিকছড়ির কয়েকটি গ্রামসহ চট্টগ্রামের অর্ধশতাধিক গ্রামের কিছু সংখ্যক মানুষ আগামীকাল ঈদ উল ফিতর উদযাপন করবে।
এছাড়া পার্বত্য জেলা বান্দরবানের লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যাংছড়ি, কঙবাজারের চকরিয়া, টেকনাফ, মহেশখালী ও কুতুবদিয়ার কয়েকটি গ্রামে থাকা মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদরাও আগামীকাল ঈদ উদযাপন করবেন।
মির্জারখীল দরবার শরীফের মুরিদ বজলুল করিম চৌধুরী বলেন, আমাদের পুরো গ্রামের মানুষ আগামীকাল ঈদ উল ফিতর উদযাপন করবে। তিনি জানান, দরবার শরীফের অনুসারীরা দুই শত বছরের অধিক সময় ধরে সৌদিআরবের সাথে মিল রেখে রোজা পালন ও ঈদ উদযাপন করে আসছে।