দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস ২৬ মার্চ যথাযথ উৎসাহ ও উদ্দীপনার মধ্যে দিয়ে স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের ৫০তম বার্ষিকী উদযাপন করেছে। অনুষ্ঠানটি তিনটি ভাগে বিভক্ত ছিল।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম কর্তৃক দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসটির আনুষ্ঠানিক শুভ সূচনা করা হয়।
পরে দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ জাতির পিতার ভাস্কর্যে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেন।
পরবর্তী অংশে বিশেষ মোনাজাত, পবিত্র ধর্মগ্রন্থ সমূহ থেকে পাঠ, রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্র মন্ত্রী, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী কর্তৃক প্রদত্ত বাণীসমূহ পাঠ করা হয়।এছাড়াও, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রী চুং চে কিয়ন-এর ভিডিও বার্তাটি প্রদর্শন করা হয়।
উন্মুক্ত আলোচনা পর্বে দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসের তাৎপর্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়নের ওপর আলোকপাত করেন।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
সেই সাথে মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী ৩০ লক্ষ শহীদ, নির্যাতিত ২ লক্ষ মা-বোনসহ সকল মুক্তিযোদ্ধাকে সশ্রদ্ধ চিত্তে স্মরণ করা হয়।
তিনি গত ৫০ বছরে বাংলাদেশ কর্তৃক অর্জিত অসাধারণ সাফল্যসমূহ এবং ভবিষ্যত আকাঙ্ক্ষার কথা তুলে ধরেন।
পরবর্তীতে, রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম দূতাবাসের সকলের উপস্থিতিতে ‘বঙ্গবন্ধু দ্য পিপলস হিরো’ বইটির মোড়ক উন্মোচন করেন যা দূতাবাসের উদ্যোগে কোরীয় ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। কোরীয় পাঠকরা এই বইটি স্থানীয় বইয়ের দোকান থেকে সংগ্রহ করতে পারবেন।
এছাড়াও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে দূতাবাস কোরিয়ার জাতীয় সংবাদপত্রগুলোতে বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করে।
অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় অংশটি জুম প্লাটফর্মে সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় যা দক্ষিণ কোরিয়ার গিয়ংবুক ফিলহার্মোনিক অর্কেস্ট্রা কর্তৃক বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত পরিবেশনের মাধ্যমে শুরু হয়।
এরপর ঢাকাস্থ ‘স্পন্দন ড্যান্স একাডেমি’-এর শিল্পীদের অংশগ্রহণে সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাসের জন্য প্রস্তুতকৃত একটি সাংস্কৃতিক নৃত্যানুষ্ঠান ‘হাজার বছরের বাঙালি’ পরিবেশিত হয়।
পরে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলামের সভাপতিত্বে ‘সুবর্ণজয়ন্তীতে বাংলাদেশঃআপনার ভাবনা’ শীর্ষক একটি অনলাইন আলোচনা রাত ৮টায় অনুষ্ঠিত হয়।
অধিবেশনটিতে কোরিয়ায় বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
আলোচনা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণকারীরা বিগত ৫০ বছরে বাংলাদেশের অর্জন এবং এর প্রত্যাশা নিয়ে তাদের চিন্তাভাবনা ও ধারণা তুলে ধরেন।
শান্তি, সমৃদ্ধি ও সাফল্যের পথে বাংলাদেশ তার যাত্রা অব্যাহত রাখবে এই আশাবাদ ব্যক্ত করে অনুষ্ঠানের পরিসমাপ্তি ঘটে।