বাংলাদেশের বিভিন্ন নৃগোষ্ঠী তথা আদিবাসী শিল্পীদের মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক পরিবেশনার মাধ্যমে বর্ণিল আয়োজনে ভার্চুয়ালি বাংলা নববর্ষ ১৪২৮ উদযাপন করেছে দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের বাংলাদেশ দূতাবাস।
চাকমা, মারমা, সাঁওতাল, ত্রিপুরা, গারো, ম্রো, মণিপুরী এবং খাসিয়া নৃগোষ্ঠীর সদস্যরা তাদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের ঐতিহাসিক পোশাক পরে ঐতিহ্যবাহী নৃত্য পরিবেশনের মাধ্যেমে বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য তুলে ধরেন।
বাংলা বর্ষবরণ উপলক্ষে তাদের সাংস্কৃতিক পরিবেশনাগুলো পূর্বেই ধারণ করা হয়। ধারণকৃত ভিডিওটি দূতাবাসের ফেসবুক পেইজে দেখা যাবে।
রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার শুভেচ্ছা বার্তায় সবাইকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।
বক্তব্যের শুরুতেই ২০২১ সাল বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ উল্লেখ করে তিনি বলেন, “এ বছর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জম্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী পালন করার পাশাপাশি স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতিও বাংলাদেশ অর্জন করেছে।”
বৈশ্বিক মহামারী পরিস্থিতিতে বিশ্বের মানুষের দুর্দশা ও অনিশ্চয়তার কথা উল্লেখ করে তিনি আশা প্রকাশ করেন যে বাংলা নতুন বছর সারাবিশ্বের জন্য আশা ও শান্তির বাণী নিয়ে আসবে।
কোভিড-১৯ প্রাদুর্ভাবের কারণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে অনুষ্ঠানটি উদযাপন করা হয়।
বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে বাংলাদেশ হাউস আলপনা, ব্যানার, ফেস্টুন ইত্যাদি দিয়ে সাজানো হয়।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল বাঙালির গর্ব মঙ্গল শোভাযাত্রা।
বর্ণাঢ্য পোশাকে সজ্জিত হয়ে নানা রঙের ব্যানার ও পতাকা নিয়ে শিশু কিশোররা প্রতীকী এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন। এরপর দূতাবাসের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও তাদের পরিবারের সদস্যদের অংশগ্রহণে একটি মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।