আগামীকাল ১৫ এপ্রিল থেকে ৫৮ দিনের জন্য সাগরে মাছ ধরা বন্ধ হচ্ছে। দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণ এবং টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সরকার এই নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এই সময় সকল প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক যে কোন প্রজাতির মাছ ধরা বন্ধ থাকবে।
এ নিষেধাজ্ঞা উপলক্ষে চট্টগ্রাম জেলা মৎস্য দপ্তর গতকাল দক্ষিণ কাট্টলী জেলেপাড়ায় জনসচেতনতামূলক এক সভার আয়োজন করে। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা শ্রীবাস চন্দ্র চন্দের সভাপতিত্বে এবং উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কামাল উদ্দীন চৌধুরীর অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সামুদ্রিক মৎস্য দপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আবদুস ছাত্তার। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাসটেইনেবল কোস্টাল এন্ড মেরিন ফিশারিজ প্রজেক্টের উপ–প্রকল্প পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান, সহকারী পরিচালক নাসিম আল মাহমুদ, নৌ পুলিশের সিনিয়র এএসপি সাঈদ ইবনে রেজা, নৌবাহিনীর প্রতিনিধি লেফটেন্যান্ট হুমাইদ হাসান হামীম, কোস্টগার্ডের পেটি অফিসার মোস্তফা আহমেদ, মৎস্য জরিপ কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন উত্তর চট্টলা জলদাশ ফেডারেশনের সভাপতি লিটন জলদাশ, সহসভাপতি খেলন জলদাশ, সমিরণ জলদাশ, উত্তর পতেঙ্গা মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি সোনাবাবু, আনন্দবাজার জেলেপাড়ার প্রতিনিধি স্বপন চন্দ্র বালি।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন, বিশ্বে ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশ প্রথম। জেলে ও মৎস্যজীবীদের আত্ম–সামাজিক উন্নয়নে বকনা বাছুরসহ, নিষিদ্ধকালীন সময়ে জেলেদের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ এবং বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়েছে। জেলে ও মৎস্যজীবীদের ব্যাংক ঋণ প্রদানের বিষয়টিও প্রকিয়াধীন রয়েছে। মৎস্য নৌযানগুলো লাইসেন্সের আওতায় আনা হচ্ছে। যান্ত্রিক মৎস্য নৌযানে জিএসএম ডিভাইস স্থাপনের মাধ্যমে নৌযানগুলোকে সার্বক্ষণিক মনিটরিংয়ের আওতায় আনা হয়েছে। সভাপতি জেলা মৎস্য কর্তকর্তা বলেন, ২০২৪ সাল অবধি এ নিষেধাজ্ঞা ২০ মে হতে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন মেয়াদে বাস্তবায়িত হয়ে আসলেও চলতি ২০২৫ সাল হতে বাংলাদেশ সরকার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের সাথে সামঞ্জস্য রেখে এটি পরিবর্তন করে ১৫ এপ্রিল হতে ১১ জুন পর্যন্ত মোট ৫৮ দিন মেয়াদে বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। মৎস্যজীবী ও জেলেদেরকে ৫৮ দিন সাগরে মাছ ধরা থেকে বিরত থাকতে তিনি অনুরোধ করেন।