গত সিরিজের আগ পর্যন্ত নিউজিল্যান্ড সফরে কোন জয় ছিলনা বাংলাদেশ দলের। কিন্তু মোমিনুলের নেতৃত্বে সে বৃত্ত ভেঙ্গেছে বাংলাদেশ দারুন এক টেস্ট জিতে। এবার কি তাহলে দক্ষিণ আফ্রিকার পালা ? কারন দক্ষিণ আফ্রিকা সফর মানেই বাংলাদেশের হাহাকারের আরেক নাম। দেশটিতে স্বাগতিকদের বিপক্ষে বাংলাদেশের প্রাপ্তির খাতা যে একেবারেই খালি। এবার সে দক্ষিণ আফ্রিকায় নতুন কিছুর মিশন শুরু করছে বাংলাদেশ আজ থেকে। তিন ম্যাচের সিরিজের প্রথম ওয়ানডে ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আজ সেঞ্চুরিয়নের সুপার স্পোর্টস পার্কে খেলাটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫ টায়। দক্ষিণ আফ্রিকার কন্ডিশনে এখনও পর্যন্ত ৬ টি টেস্ট ও ১৪টি ওয়ানডে খেলেছে বাংলাদেশ। সেখানে একটি জয় আছে বটে বাংলাদেশের। তবে সেটা দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নয়। ২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই জয়টি এসেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর দেশটিতে ২০ ওভারের ক্রিকেটেও হারতে হয়েছে পরের ৭ ম্যাচ। যেখানে শুধু দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হেরেছে ৪ ম্যাচে। এবারের সফরে কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচ নেই। আছে তিনটি ওয়ানডের সঙ্গে দুটি টেস্ট। বাংলাদেশ দলের কোচ রাসেল ডমিঙ্গো মনে করছেন বাংলাদেশের সম্ভাবনা তুলনামূলকভাবে উজ্জ্বল ওয়ানডেতেই। এই সংস্করণে সবচেয়ে ধারাবাহিক তারা আত্মবিশ্বাসও থাকে বেশি। সেটি মনে করিয়ে দিয়েই ডমিঙ্গো বলেন সংস্করণটা ওয়ানডে বলেই বেশি আত্মবিশ্বাসী তারা। নিজেদের আন্ডারডগ মনে করলেও নিজের ওয়ানডে দল নিয়ে বেশ আত্মবিশ্বাসী ডমিঙ্গো। তিনি বলেন আমরা লম্বা সময় ধরে এই সংস্করণে ভালো খেলছি। খেলোয়াড়রা তাদের ভূমিকা সম্পর্কে জানে। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ একটি সিরিজ আশা করছি।দক্ষিণ আফ্রিকা ফেভারিট হিসেবে শুরু করলেও বাংলাদেশ খেলতে চায় নিজেদের সেরাটা দিয়ে। যদিও দক্ষিণ আফ্রিকা সমপ্রতি ভারতের মত দলকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছে। তার উপর তারা নিজেদের কন্ডিশনে খেলবে যেখানে তাদের হারানো কঠিন। এ সব আমাদের বিশেষ কিছু করার সুযোগ করে দিচ্ছে। আমরা এমন কিছু করতে চাই, যা আগে কোনো বাংলাদেশ দল দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ২১ ম্যাচ খেলে বাংলাদেশ জিতেছে মাত্র ৪টিতে। ১৭টি ম্যাচে হেরেছে। এবার ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে টাইগারদের সামনে। আর সে লক্ষ্যেই আজ মাঠে নামবে তামিম বাহিনী।