ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকা পরিচিত পেসারের দেশ হিসেবে। ধ্রুপদি আর আগ্রাসী ব্যাটসম্যানদের দেশ হিসেবে। সেখানেই এবার সবাইকে ছাড়িয়ে গেলেন দুই স্পিনার। ২০২৪–২৫ মৌসুমে ছেলেদের ক্রিকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বর্ষসেরা ক্রিকেটার কেশাভ মহারাজ। মেয়েদের ক্রিকেটে সেরা আরেক বাঁহাতি স্পিনার ননকুলুলেকো লাবা। জোহানেসবার্গের কেমপটন পার্কে এমপেররস প্যালাসে গত বৃহস্পতিবার ‘সিএসএ অ্যাওয়ার্ডস’ আয়োজনে ঘোষণা করা হয় বিজয়ীদের নাম। এই পুরস্কারের জন্য বিবেচিত সময়কালের মধ্যে পড়েছে গত বছরের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং গত মার্চের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। তবে এবারের আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল এর আওতায় ছিল না। দক্ষিণ আফ্রিকার শিরোপা জয়ের পথে এইডেন মার্করামের সেঞ্চুরি ও কাগিসো রাবাদার ৯ উইকেট সেরার বিবেচনায় থাকবে তাই আগামী মৌসুমে। বিবেচিত সময়ের মধ্যে সাত টেস্টে ৪০ উইকেট শিকার করেন মহারাজ। দুই ইনিংসে ছিল পাঁচ উইকেট করে, আরও দুই ইনিংসে চারটি করে উইকেট। গত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার ফাইনালে ওঠার পেছনেও তার ছিল বড় ভূমিকা। ওই আসরে ১১ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি ওভারপ্রতি ৬.২৫ রান দিয়ে।ছেলেদের মতো মেয়েদের টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও রানার্স আপ হয় দক্ষিণ আফ্রিকা। ফাইনালে ওঠার পথে দলের সেরা বোলার ছিলেন লাবা। ১২ উইকেট নিয়ে টুর্নামেন্টের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ছিলেন তিনি। দক্ষিণ আফ্রিকার নারী টেস্ট ইতিহাসের প্রথম বোলার হিসেবে ম্যাচে ১০ উইকেট শিকার করেন তিনি গত ডিসেম্বরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ব্লুমফন্টেইনে। আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে ওঠার পথে দুটি সেঞ্চুরি করে ছেলেদের বর্ষসেরা টেস্ট ক্রিকেটারের স্বীকৃতি পেয়েছেন অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা। বিবেচিত সময়ে ওয়ানডে খুব কম খেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা।
এই সংস্করণের সেরা হয়েছেন এখন অবসরে যাওয়া হাইনরিখ ক্লসেন। গত টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অসাধারণ বোলিং করা আনরিখ নরকিয়া জিতেছেন বর্ষসেরা টি–টোয়েন্টি ক্রিকেটারের খেতাব। ওই আসরে ৯ ম্যাচে ১৫ উইকেট শিকার করেছিলেন তিনি ওভারপ্রতি মাত্র ৫.৭৪ রান দিয়ে। ছেলেদের বর্ষসেরা নবাগত ক্রিকেটার হয়েছেন পেসার ওটনিল বার্টম্যান।