থ্রি-পিস ও পাঞ্জাবির চাহিদা বেশি

ঈদ বাজারে উপচে পড়া ভিড়

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ at ৪:৫৭ পূর্বাহ্ণ

ঈদের বাকি আছে আর এক সপ্তাহ। সময় ঘনিয়ে আসায় সন্ধ্যা নামার সাথে মার্কেটগুলোতে ছুটছেন ক্রেতারা। গতকাল দুপুর থেকে তীব্র তাপদাহ উপেক্ষা করে বিভিন্ন বয়সী নারী পুরুষকে এক মার্কেট থেকে অন্য মার্কেট ঘুরে কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, ইফতারের পর থেকে ক্রেতাদের চাপ থাকে। এছাড়া মধ্যরাত থেকে চলছে বিকিকিনি। কয়েকজন বিক্রেতারা জানান, মার্কেটে বেশ কিছু ইউনিক ডিজাইনের পোশাক এসেছে।

তবে এবার ঈদের বাজারে বেশিরভাগ তরুণীর পছন্দ বাহারি ডিজাইনের থ্রিপিস এবং গৃহিনীদের প্রথম পছন্দ কাথানসহ বিভিন্ন কারুকাজের শাড়িতে। নগরীর নিউমার্কেট বিপণী বিতান, রেয়াজুদ্দিন বাজার, তামাকুমণ্ডি লেইন, জহুর হকার্স মার্কেট, টেরি বাজার, চকবাজারের মতি টাওয়ার, কেয়ারি, বালি আর্কেড, ২ নম্বর গেট শপিং কমপ্লেক্স, মিমি সুপার মার্কেট, আফমি প্লাজা, ফিনলে স্কয়ার, সেন্ট্রাল প্লাজা, ইউনেস্কো সিটি সেন্টার, আমিন সেন্টার, ভিআইপি টাওয়ার, স্যানমার ওস্যান সিটি, আখতারুজ্জামান সেন্টার, সিঙ্গাপুর ব্যাংকক মার্কেটসহ বিভিন্ন মার্কেট ঘুরে দেখা গেছে, এসব মার্কেটের বিক্রেতাদের দাম ফেলার ফুসরত নেই। ক্রেতারাও পছন্দের পোশাকটি খুটিয়ে খুটিয়ে দেখছেন। এরপর পছন্দ হলে পণ্য কিনে বাড়ির পথ ধরছেন।

রেয়াজুদ্দিন বাজারে আসা গৃহিনী সাবরিনা আকতার বলেন, ছেলে মেয়েদের জন্য জামা কিনতে এসেছি। এ বছর জামা কাপড়ের দাম গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি মনে হচ্ছে। নিউমার্কেটে আসা কলেজছাত্র শিহাব আলী চৌধুরী বলেন, বন্ধুদের সাথে পাঞ্জাবি কিনতে এসেছি। পাঞ্জাবি ছাড়া টি শার্ট নেয়ার পরিকল্পনা আছে। আসলে নতুন পাঞ্জাবি ছাড়া ঈদের আনন্দের পূর্ণতা পায় না। জহুর হকার্স মার্কেটে কথা হয় বেসরকারি চাকরিজীবী হায়দার রশিদের সাথে। তিনি বলেন, ঈদে নিজের জন্য কিছু না কিনলেও বাচ্চাদের জন্য কিছু কিনতে হয়। কারণ ছোটদের ঈদের খুশিটাই আমাদের খুশি। জহুর হকার্স মার্কেটের অলিদ ফ্যাশনের স্বত্বাধিকারী এম এম ইলিয়াছ উদ্দিন বলেন, ঈদের বাজার এখন জমে উঠেছে। বেচাবিক্রিতে আমরা সন্তুষ্ট।

জহুর হকার্স মার্কেট ব্যবসায়ী সমিতির যুগ্ম সদস্য সচিব ফজলুল আমিন দৈনিক আজাদীকে বলেন, ভালো মানের পণ্যের জন্য জহুর হকার্স মার্কেটের আলাদা একটি সুনাম রয়েছে। সব উচ্চবিত্তশ্রেণীর অনেক ক্রেতাও ভিড় করেন। এবার ঈদে আমরা যে পরিমাণ বেচাবিক্রি আশা করেছিলাম সেই রকম বিক্রি হচ্ছে। স্যানমার ওশান সিটি ও নাসিরাবাদের ফিনলে স্কয়ার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আসাদ ইফতেখার দৈনিক আজাদীকে বলেন, ঈদ মার্কেটে এখন ব্যবসায়ীদের দম ফেলার ফুসরত নেই। এবার ঈদ যেহেতু গ্রীষ্মকালে মৌসুমে হচ্ছে, তাই সুতির কাপড়ের ওপর বিভিন্ন কারুকাজ করা পোশাকই বেচাবিক্রি হচ্ছে বেশি। এছাড়া কাথান শাড়ি ও কাথান থ্রিপিসও বিক্রি হচ্ছে।

তামাকুমণ্ডি লেইন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোজাম্মেল হক দৈনিক আজাদীকে বলেন, ঈদ বাজার এখন পুরোদমে জমে উঠেছে। সন্ধ্যার পর থেকে মার্কেটে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় থাকে। যদিও গরমের কারণে দিনের বেলায় ক্রেতা সমাগম কিছুটা কম দেখা যাচ্ছে। তবে আমরা আশা করি সামনের দিনগুলোতে বেচাবিক্রি আরো বাড়বে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইলিশের চাহিদা নেই তবুও বাজার চড়া
পরবর্তী নিবন্ধস্কুল-কলেজের জন্য নতুন নির্দেশনা, নেই মঙ্গল শোভাযাত্রার কথা