ঈদের আগে দিনে–দুপুরে অস্ত্র নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ব্যাংক ডাকাতির পর থেকে বান্দরবানের থানচির রাস্তা–ঘাট অনেকটা ফাঁকা, ওষুধ আর খাবারের মত জরুরি পণ্যের দোকান ছাড়া বেশিরভাগ দোকানেই ঝুলছে তালা। স্থানীয়রা বলছেন, রুমা উপজেলায় ব্যাংক ডাকাতি ও অপহরণের পরদিন দুপুরে থানচিতেও দুই ব্যাংকে লুটপাটের ঘটনায় তাদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে। রাস্তাঘাটে লোকজন কমে গেছে। এমন অবস্থায় নিরাপত্তা উদ্বেগে দোকানপাট আপাতত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। খবর বিডিনিউজের।
থানচি বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান কামলাই চৌধুরী বলেন, দুপুরের ঘটনার পর আজকে আমরা ওষুধ ও খাবার দোকান ছাড়া সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখেছি। কালকে সকালে পরিস্থিতি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেব।
তিনি বলেন, থানচি বাজার ও বাস স্টেশন এলাকা মিলে প্রায় ২৫০ দোকান আছে। সেগুলোর মধ্যে ওষুধ ও খাবার দোকানসহ জরুরি প্রয়োজনের দোকান ছাড়া অন্যসব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যান্য দোকান বন্ধের পাশাপাশি থানচিতে সড়কের পাশের সবজি ও ফল বিক্রেতারাও দোকানপাট বন্ধ করে রেখেছেন বলে স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে।
থানচিতে ব্যাংকে আক্রমণের ঘটনা বর্ণনায় সেখানকার এক ব্যবসায়ী বলেন, আজকে থানাচিতে সাপ্তাহিক বাজার। উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে লোকজন মালামাল নিতে এখানে এসেছিলেন। বেলা সোয়া ১২টা থেকে সাড়ে ১২টার মধ্যে তিনটি জিপে কয়েকশ লোক আসে।
আমরা তিনটি গাড়িতে করে লোকজন আসতে দেখেছি। তার মধ্যে দুটি গাড়ি থেকে নেমে তারা দুই ব্যাংকে যায়। একটি গাড়ি ব্যাংকের সামনে দাঁড়িয়ে ছিল। বুধবার সাপ্তাহিক বাজার থাকায় দুই ব্যাংকেই অনেক গ্রাহক ছিলেন জানিয়ে তিনি বলেন, সোনালী ব্যাংকে প্রবেশ করে দলটির সদস্যরা ম্যানাজারকে খুঁজতে থাকে। না পেয়ে ক্যাশ বাঙে থাকা টাকা নিয়ে যেতে দেখা গেছে। সশস্ত্র দলটির সঙ্গে কয়েকজন নারীও ছিলেন জানিয়ে ওই ব্যবাসায়ী বলেন, দলটির লোকজন খাকি পোশাক পরে ছিলেন। আমাদের ধারণা, তারা কুকি–চিন পার্টির সদস্য।
ব্যাংক লুট শেষে সশস্ত্র দলটি থানচি বাজারে প্রকাশ্যে গুলি ছুড়ে আতঙ্ক তৈরি করে এবং তিনটি জিপ চেপে চাঁদাপাড়া এলাকার সড়কের দিকে চলে যায় বলে জানান ওই ব্যবসায়ী।