থাইল্যান্ডের এক নাগরিকের মামলার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের দুইটি ফিশিং ভ্যাসেলকে গ্রেপ্তার করার নির্দেশ কার্যকর করার নির্দেশনা প্রদান করেছেন আদালত। মি. সোমপর্ন রোডডারা নামের এক থাই নাগরিক সিভিক রিফার লাইন কোম্পানি লিমিটেডের নামে বিক্রয় চুক্তি লংঘন করার অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলায় অভিযোগ করা হয়, এফভি মেরিন ৮ এবং এফ ভি মেরিন–১১ নামের জাহাজ দুইটির বিক্রয় চুক্তি লঙ্ঘন করা হয়েছে। তিনি জাহাজ দুইটি বাবদ ৪৫ মিলিয়ন থাই বাত অগ্রিম প্রদান করেছেন। কিন্তু আসামিরা তাকে জাহাজ দুইটি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছেন। এতে ওই থাই নাগরিকের ২৬ লাখ ৯৯ হাজার ৯৯.৭৩ মার্কিন ডলারের ক্ষতি হয়েছে বলেও মামলার এজাহারে উল্লেখ করেন। গত ১ জুন জাহাজ দুইটিকে গ্রেপ্তারের জন্য অ্যাডমিরালটি মার্শাল জাহাজ দুইটিকে গ্রেপ্তারের নোটিশ প্রদানের জন্য যাওয়ার উদ্যোগ নিয়েও যেতে পারেন নি। ওই সময় জাহাজ দুইটি গভীর সমুদ্রে মাছ শিকার করছিল। বাংলাদেশ অ্যাডমিরালটি কোর্ট গত ৩১ ডিসেম্বর গ্রেপ্তারাদেশ কার্যকর করে জাহাজ দুইটি যেনো বাংলাদেশের জলসীমা ত্যাগ করতে না পারে সেজন্য প্রয়োজনীয় সহায়তা প্রদানের জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ এবং আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোকে নির্দেশ দিয়েছে।
জাহাজ দুইটি বর্তমানে জনৈক জাকির হোসেনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।