থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককের বাইরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৪০ জনেরও বেশি শিক্ষার্থী ও শিক্ষক বহনকারী একটি স্কুল বাসে আগুন ধরে নিহত অন্তত ২৩ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এদের ২০ জনই শিশু আর তিনজন শিক্ষক। ফরেনসিক সায়েন্স কমিশনার ট্রাইরং ফিওপান মৃতদেহগুলো শনাক্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। খবর বিডিনিউজের।
বাসে আগুন লাগার কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে বলেও জানান তিনি। বাসে আগুন লাগার ঘটনায় বেঁচে গেছে ১৯ শিশু ও তিন শিক্ষক। এদের ১৬ জনকে তাদের জখমের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ছবিতে দেখা গেছে, আগুনে বাসটি সম্পূর্ণ পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, আগুনের তাপের কারণে গাড়ির ভেতরে ঢুকতে পারেননি তদন্তকারীরা। ভারপ্রাপ্ত পুলিশ প্রধান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, শিক্ষকরা আমাদের জানিয়েছেন, খুব দ্রুত আগুন ছড়িয়ে পড়ে।
তিনি বলেন, প্রত্যক্ষদর্শীদের সঙ্গে কথা বলে আমরা ধারণা করছি, টায়ার থেকে আসা স্ফুলিঙ্গের কারণে গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ ঘটে। আমরা বাস কোম্পানিসহ সবার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছি। এটি যান্ত্রিক ত্রুটি নাকি দুর্ঘটনা সেটি খতিয়ে দেখা হবে। পরিবহনমন্ত্রী সুরিয়া জানিয়েছেন, বাসটি প্রাকৃতিক গ্যাসের (এনজিভি) গাড়ি ছিল।
প্রধানমন্ত্রী পায়েতংতার্ন সিনাওয়াত্রা জানিয়েছেন, শিক্ষার্থীরা রাজধানী থেকে প্রায় ২৫০ কিলোমিটার উত্তরে উথাই থানি প্রদেশ থেকে ফিল্ড ওয়ার্কে গিয়েছিল। তিনি বলেন, একজন মা হিসেবে আমি নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। তিনি আরও বলেন, নিহতদের চিকিৎসার সব ব্যয় ও ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নেবে সরকার।