থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ

| শুক্রবার , ১৬ অক্টোবর, ২০২০ at ৩:৫৯ পূর্বাহ্ণ

থাইল্যান্ডে জরুরি অবস্থা জারি থাকার মধ্যে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে আবার রাজধানী ব্যাংককের রাস্তায় জড়ো হয়েছে গণতন্ত্রপন্থি বিক্ষোভকারীরা। গ্রেপ্তার হওয়া বিক্ষোভকারীদের মুক্তির দাবিতে স্লোগান দিয়েছে তারা। ছাত্র-আন্দোলনের প্রতীক হয়ে ওঠা ‘তিন আঙ্গুল স্যালুট’ প্রদর্শন করেছে অনেকেই। খবর বিডিনিউজের।
থাইল্যান্ডে রাজার আগমনে বুধবার রাজধানী ব্যাংককে বিশাল বিক্ষোভের পর আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কথা বলে বৃহস্পতিবার সকালেই কঠোর জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেন থাই প্রধানমন্ত্রী। জারি করা জরুরি ডিক্রিতে চারজনের বেশি মানুষের জমায়েত নিষিদ্ধ করা হয়। পুলিশ রাজতন্ত্র সংস্কারের দাবিতে সরব কয়েকজন ছাত্রনেতাসহ ২০ জনের বেশি মানুষকে গ্রেপ্তারও করে। এরপর বৃহস্পতিবার বিকালেই নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভকারীরা ব্যাংককের একটি ব্যস্ত এলাকায় সমবেত হয়ে আটককৃতদের মুক্তির দাবি জানিয়েছে এবং ‘পুলিশ একনায়কত্বের দাস’ স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ করেছে।
পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ঘিরে দাঁড়ায় এবং ঘটনাস্থল থেকে পাওয়া ছবিতে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষ হওয়াসহ পুলিশকে ধরপাকড় করতেও দেখা গেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। থাইল্যান্ডে মূলত ২০১৪ সালের অভ্যুত্থানে ক্ষমতা দখলকারী প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচার পদত্যাগের দাবিতে ছাত্র নেতৃত্বাধীন আন্দোলন শুরু হয়েছিল। তবে সমপ্রতি কয়েকমাসে বিক্ষোভকারীরা রাজার ক্ষমতা খর্বের দাবিতেও আন্দোলন শুরু করেছে। থাই রাজা ভাজিরালংকর্ণ বিশেষ করে এই করোনাভাইরাস সংকটকালে বেশিরভাগ সময় বিদেশে কাটানোয় দেশে তাকে নিয়ে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে। কয়েক সপ্তাহ আগেই রাজা জার্মানি ভ্রমণ শেষে দেশে ফিরেছেন। বুধবার রাজদম্পতি বৌদ্ধ সমপ্রদায়ের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজধানীর রাচাদামনোন এভিনিয়্যুতে যাওয়ার সময় বিক্ষোভকারীরা পথিমধ্যে বিক্ষোভ করে। গত তিন মাস ধরেই থাইল্যান্ডের রাজপ্রাসাদ ও সামরিক কর্তৃত্বাধীন প্রশাসনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ চলে আসছে। যদিও থাইল্যান্ডের আইন অনুযায়ী রাজতন্ত্রের সমালোচনা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। কিন্তু দীর্ঘদিন ধরে চলা বিক্ষোভের কারণে বিক্ষোভকারীরা দিন দিনই নিয়ম লঙ্ঘন করার মত সাহসী উঠছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্থগিত পরীক্ষা গ্রহণের দাবিতে চবি শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন
পরবর্তী নিবন্ধ১২ বছর বয়সী মোবাইল চোর ঢাকাইয়্যা আবার আটক