স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে যোগ দেওয়া ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনের বিরোধিতা করে বিক্ষোভকে কেন্দ্র করে গত শুক্রবার হাটহাজারীতে পুলিশের সঙ্গে হেফাজতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা গেছেন হাটাহাজারী মাদ্রাসার ৩ ছাত্র ও এক দর্জি। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে হাটহাজারী, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পটিয়ায় সংঘর্ষে জড়ায় হেফাজতের কর্মীরা। গতকালও তারা হাটহাজারীতে সড়কে বিক্ষোভ অব্যাহত রাখে। দেয়াল তুলে সড়ক অবরোধ করে তারা। এতে করে দুর্ভোগে পড়ে মানুষ। এর আগে তারা থানায় ভাঙচুর করে, স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও সরকারি ডাকবাংলোয় তা-ব চালায় জানিয়েছে পুলিশ। হাটহাজারীর ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল হেফাজত ইসলাম সারা দেশে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। তাছাড়া আজ রোববার সারা দেশে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানিয়েছেন হেফাজতের আমির আল্লামা জোনায়েদ বাবুনগরী। হেফাজতের কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গড়ে তুলেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
থমথমে হাটহাজারী : হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের অবরোধের কারণে চট্টগ্রাম-খাগড়াছড়ি সড়কে যানবাহন চলাচল ২৪ ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে বন্ধ। সড়কে দেয়াল বানিয়ে ও বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে অবস্থান নিয়েছে হেফাজত কর্মীরা। এতে খাগড়াছড়ি, রামগড়, ফটিকছড়ি ও নাজিরহাটের লোকজন কার্যত অবরুদ্ধ অবস্থায় পড়ে। গতকাল শনিবার রাত ১০টার দিকে সড়কের হাটহাজারীর ত্রিবেণীর মোড়ে হাজারখানেক হেফাজতকর্মী অবস্থান করছিল বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। পুরো এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন আছে। এছাড়া ২৫০ র্যাব এবং বিজিবির ১০০ সদস্য মোতায়েন আছে। দোকানপাট বন্ধ আছে। তবে পরিস্থিতি তুলনামূলক শান্ত।
হাটহাজারী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাহাদাত হোসেন বলেন, পরিস্থিতি স্বাভাবিক আছে। তবে যানবাহন চলাচল এখনও স্বাভাবিক হয়নি। পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি মোতায়েন আছে।
স্থানীয়রা জানিয়েছেন, অবরোধের কারণে খাগড়াছড়ি-ফটিকছড়িসহ ওই এলাকার লোকজনকে চট্টগ্রামে যেতে গিয়ে দুর্ভোগের মধ্যে পড়তে হচ্ছে। দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার আগে গ্রামের ভেতর দিয়ে একটি সড়ক দিয়ে ছোট ছোট কিছু যানবাহন চলাচল করছে। অনেকে পায়ে হেঁটেও অবরোধস্থল পার হচ্ছেন। দূরপাল্লার বড় যানবাহন চলাচল পুরোপুরি বন্ধ।
ঘটনাস্থলে থাকা চট্টগ্রামের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (উত্তর) মশিউদ্দৌলা রেজা বলেন, এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে। তবে কিছুটা আতংক আছে। মাদ্রাসার সামনে রাস্তা কেটে ফেলা হয়েছে। সেজন্য যানবাহন চলাচল বন্ধ আছে। সাংসদ আনিসুল ইসলাম মাহমুদ স্যার হেফাজতে ইসলামের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন।
হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমিন জানান, মিছিলকারীরা ভূমি অফিসে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালিয়েছে। ফাইলপত্র, আসবাবপত্র সব জড়ো করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ভূমি অফিসের একটি গাড়িতেও আগুন দেওয়া হয়েছে। উপজেলার ডাকবাংলোতে ঢুকেও ব্যাপক ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ব্যাপরে কোনো মামলা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বিষয়টি আইনগত প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করেন। এ ব্যাপারে মাননীয় সাংসদ ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ হেফাজত নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে বিষয়টি সুরাহা করবেন বলে জানান।
ডাকবাংলোয় হামলা, আগুন : গতকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে হাটহাজারী ডাকবাংলোতে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এ সময় তারা বাংলোর নতুন ভবনে হামলা করে আগুন জ্বালিয়ে দেয়। জ্বালিয়ে দেয় তিনটি মোটরসাইকেল।
ডাকবাংলোর কেয়ারটেকার সৈয়দ আলাউদ্দিন বাদল বলেন, গতকাল হঠাৎ একদল দুর্বৃত্ত ডাকবাংলোয় ঢুকে ভাঙচুর করে। তিনটা মোটরসাইকেলে আগুন দেয়।
সড়কে হেফাজতের দেয়াল : হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান, হেফাজতের ডাকা বিক্ষোভ গতকাল হাটহাজারীতে শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে। কোথাও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। বিক্ষোভকারীরা মাদ্রাসার সামনে ইটের দেয়াল তুলে এবং সড়ক কেটে গাড়ি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে। গত শুক্রবার থেকে হাটহাজারী-নাজিরহাট-ফটিকছড়ি এবং পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি মহাসড়কের বিভিন্ন রুটে সরাসরি যান চলাচল বন্ধ ছিল। উল্লেখিত রুটের চট্টগ্রামগামী ভারী গাড়িগুলো পৌরসভার মাটিয়া মসজিদ নামক স্থান থেকে পৌরসভার উত্তর সীমান্তে দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়েছিল। সিএনজি টেঙি, কার, মাইক্রো ও হাইয়েস বিকল্প সড়কে যাতায়াত করছে। এতে করে স্বল্পআয়ের যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। উত্তর হাটহাজারীর বিভিন্ন রুটের চলাচলকারী যাত্রীবাহী টেঙিগুলোকে বিকল্প সড়কে দক্ষিণ হাটহাজারীর বিভিন্ন ফিলিং স্টেশন থেকে গ্যাস আনার দোহাই দিয়ে বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ উঠেছে।
এদিকে, হাটহাজারীতে নিহত বিক্ষোভকারীদের লাশ হাটহাজারী মাদ্রাসায় এনে জানাজার কথা থাকলেও প্রশাসনের অনুরোধে লাশগুলো নিহতদের পরিবারের নিকট ময়না তদন্ত ছাড়া গতকাল বিকালে হস্তান্তর করা হয়।
গতকাল সকালে সংবাদমাধ্যমে হেফাজত আমিরের ব্যক্তিগত সহকারী ইনআমুল হাসান ফারুকী পাঠানো এক বিবৃতিতে আল্লামা বাবুনগরী বলেন, ঢাকা, হাটহাজারীসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় মোদীর আগমনের প্রতিবাদে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে তৌহিদি জনতা। বিভিন্ন জায়গায় আন্দোলনরতদের ওপর হামলার সংবাদ পাওয়া গেছে। হাটহাজারীতে আমার কলিজার টুকরা চারজন ভাইকে শহীদ করেছে পুলিশ। শহীদদের গা থেকে ঝরা এ রক্ত বৃথা যেতে দেওয়া হবে না। প্রতি ফোঁটা রক্তের বদলা নেওয়া হবে।
এদিকে গতকাল দুপুরে নগরীর জমিয়তুল ফালাহ মসজিদ ময়দানে বিক্ষোভ করেছে হেফাজতের নেতাকর্মীরা। সমাবেশে বক্তারা বলেন, ময়নাতদন্তের নামে ষড়যন্ত্র চলছে। আমরা সুষ্ঠু ময়নাতদন্ত আশা করছি।
বিক্ষোভ সমাবেশ ঘিরে সতর্ক অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা সারা দেশে রোববার সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালনের জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান। সমাবেশে বক্তব্য দেন হেফাজতে ইসলাম নেতা মির্জা ইয়াছিন, মহানগর নেতা ইউছুফ বিন ইয়াকুব, মাওলানা শামীম, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সায়েম উল্লাহ, আলী উসমান, কেন্দ্রীয় কমিটির নায়েবে আমীর ও মহানগর সেক্রেটারি লোকমান হাকিম, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক আল্লামা আজিজুল হক ইসলামাবাদী। পরে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের হয়। মিছিল শেষে হেফাজত মহানগরের সভাপতি হাফেজ মাওলানা তাজুল ইসলাম মোনাজাত পরিচালনা করেন।
এদিকে গতকাল রাত পৌনে ৮টায় এ রিপোর্ট লেখার সময় মাদ্রাসার মাইক থেকে বিক্ষোভকারী শিক্ষার্থীদের মাদ্রাসার ভেতরে ঢুকে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়।
গতকাল হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব নাছির উদ্দিন মুনির জানান, প্রশাসনের সাথে কথাবার্তা চলছে। তবে আমাদের ছাত্র সংগঠনের নেতাকর্মী ছাড়া একক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে পারব না।
হেফাজতের ৫ দাবি : সরকারের নিকট হেফাজতের পক্ষ থেকে ৫টি দাবি জানানো হয়েছে। দাবিগুলো হলো হাটহাজারী মাদ্রাসার বিক্ষোভকারী ছাত্র ও জনতার ওপর হামলা করে যাদের শহীদ ও আহত করা হয়েছে ওই সকল ভাইয়ের খুনিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। ছাত্র ও জনতার ওপর গুলি ও হামলা বন্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে আইন পাশ করতে হবে। নিহতদের ক্ষতিপূরণ ও আহতদের চিকিৎসা খরচ হাটহাজারী থানা প্রশাসনকে বহন করতে হবে। চট্টগ্রাম মেডিকেলে আহত ভাইদের চিকিৎসায় অবহেলাকারী ডাক্তারদের বিচারের আওতায় আনতে হবে। ওসি রফিকসহ ইন্ধনদাতাদের হাটহাজারী থানা থেকে বরখাস্ত করতে হবে। ওসিকে বরখাস্ত করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- দিতে হবে।
কী ঘটেছিল? : শুক্রবার জুমার নামাজের পরপর ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আগমনের বিরোধিতা করে হাটহাজারী উপজেলায় দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদ্রাসার একদল ছাত্র, যারা হেফাজতের কর্মী হিসেবে পরিচিত, তারা মিছিল বের করে। তারা নরেন্দ্র মোদী ও সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে হাটহাজারী থানার সামনে জড়ো হয়। একপর্যায়ে থানায় ভাঙচুর করে। স্থানীয় ইউনিয়ন ভূমি অফিস ও সরকারি ডাকবাংলোর ভেতরে ঢুকে তা-ব চালায়। মাদ্রাসা ছাত্ররা চার পুলিশ কর্মকর্তাকে মারধর করে। তাদের মধ্যে শিক্ষানবীশ এএসপি ফারাবী ও এক এসআই গুরুতর আহত হলে তাদের হাসপাতালে পাঠানো হয়। পুলিশের একটি পিস্তল ছিনিয়ে নেয় বিক্ষোভকারীরা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ গুলি ছুড়লে মাদ্রাসার ছাত্ররা পিছু হটে। এরপর তারা মাদ্রাসার মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে। সংঘর্ষে আহতদের মধ্যে ১১ জনকে বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সাড়ে ৪টার মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। এর মধ্যে চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা।
শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৩টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই শিলব্রত বড়ুয়া। নিহতরা হলেন, মাদারীপুরের মো. মেহরাজুল ইসলাম, ময়মনসিংহের মো. আব্দুল্লাহ মিজান, হাটহাজারীর মো. জসিম ও কুমিল্লার মো. রবিউল ইসলাম। দুপুরে এদের হাসপাতালে আনা হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে অ্যাম্বুলেন্সে করে আরও দুজনকে আনা হয়।
তিনি বলেন, হাটহাজারী থেকে গুলিবিদ্ধ চারজনকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। এদের মধ্যে তিনজন হাটহাজারী মাদ্রাসার ছাত্র ও একজন দর্জি। অর্ধশতাধিক আহত হেফাজতের নেতাকর্মীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
চমেক হাসপাতাল জরুরি বিভাগ ভাঙচুর : চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে হঠাৎ হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে একদল যুবক। শুক্রবার বিকেল ৫টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ১৫-২০ জনের একটি দল ঢুকে ভাঙচুর চালায় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবির। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, হাটহাজারীতে সংঘর্ষের ঘটনায় আহত ৪ জনকে হাসপাতালে আনার পর জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে মরদেহের সঙ্গে থাকা স্বজনরা জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালান।
চমেক পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ জহিরুল হক ভূঁইয়া আজাদীকে বলেন, ১৫-২০ জনের একটি দল হঠাৎ এসে হাসপাতালে হামলা চালায়, ভাঙচুর করে। এ সময় জরুরি বিভাগের ওয়ার্ড সর্দার মো. এনায়েত আহত হন।
ওয়ার্ড সর্দার মো. এনায়েত আজাদীকে বলেন, হঠাৎ একদল যুবক এসে আমাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। তারা আমার মুখে আঘাত করেছে। জরুরি বিভাগে ভাঙচুর চালিয়ে পালিয়েছে।
হতাহতদের দেখতে বিকালে হাসপাতালে আসেন হেফাজত ইসলামের আমির জুনাইদ বাবুনগরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী এবং শিক্ষা ও সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক হারুন ইজাহার। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগরের সভাপতি জান্নাতুল ইসলামও হাসপাতালে যান।
আজিজুল হক ইসলামাবাদী সাংবাদিকদের বলেন, হেফাজতের কোনো কর্মসূচি ছিল না। কিছু ছাত্র একটি শান্তিপূর্ণ মিছিল বের করেছিল। তাতে বিনা উসকানিতে গুলি চালিয়েছে পুলিশ সদস্য। আমরা এর নিন্দা করি, সঠিক বিচার চাই।
হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের থানায় হামলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। মাদ্রাসার ছাত্রদের অভিযুক্ত করার জন্য সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র।
জুনাইদ বাবুনগরী সাংবাদিকদের সামনে কোনো বক্তব্য দেননি। তিনি বিকেল সাড়ে ৫টায় হাসপাতালে পৌঁছান। লাশঘরে নিহতদের দেখে কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর সন্ধ্যা পৌনে ৭টায় গাড়িতে ওঠেন। হেফাজতের কিছু নেতাকর্মী গাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে মোদীর বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে থাকেন। তারা বলতে থাকেন, লাশ ছাড়া আমরা কেউ এখান থেকে যাব না। তবে রাত ৮টা ৩৫ মিনিটে লাশঘর থেকে লাশ ৪টি পৃথক অ্যাম্বুলেন্সে করে মর্গে নেওয়া হয়। এ সময় পুলিশ ও সোয়াত সদস্যদের পাহারা দিতে দেখা যায়।