থমথমে সেন্টমার্টিনে বন্ধ দোকানপাট, নিখোঁজ ৩

ট্রলার ডুবির ঘটনা

কক্সবাজার প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৬ জুলাই, ২০২৪ at ৬:১১ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরে ট্রলার ডুবির ঘটনায় এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন। উদ্ধার তৎপরতায় অসহযোগিতার অভিযোগে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে দ্বীপবাসীর সংঘাতের জের ধরে দ্বীপে এখন থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দ্বীপের সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। জরুরি প্রয়োজন ছাড়া স্থানীয়রা ঘর থেকে তেমন বের হননি। সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান খোরশেদ আলম বলেন, সাগরে এখনো তিনজন নিখোঁজ রয়েছেন।

নিখোঁজরা হলেন, সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সহসভাপতি নুর মোহাম্মদ সাগর, আব্দুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ ফাহাদ ও আজম আলীর ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল। তিনি বলেন, ট্রলার ডুবির ঘটনায় উদ্ধার করতে গিয়ে আরেকটি স্পিড বোট ডুবির ঘটনা ঘটেছে। গেলো বুধবার রাত আটটার দিকে উম্মত আলী ও কালা মানিক সাঁতরে শাহপরীর দ্বীপের কূলে উঠতে পারলেও ফাহাদ ও ইসমাইল নিখোঁজ রয়েছেন।

তিনি আরও বলেন, ট্রলার ডুবির পর উদ্ধার তৎপরতায় অসহযোগিতার অভিযোগে কোস্ট গার্ডের সঙ্গে সেন্টমার্টিনবাসীর সংঘাতের জেরে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দ্বীপের সকল দোকানপাট বন্ধ রয়েছে। কোস্ট গার্ড সদস্যরা দ্বীপে টহল জোরদার করেছেন। তবে আতঙ্কে দ্বীপের মানুষজন ঘর থেকে বের হচ্ছেন না। এর আগে বুধবার দুপুর আড়াইটার দিকে টেকনাফ থেকে সেন্টমার্টিন যাওয়ার পথে বঙ্গোপসাগরের গোলারচর মোহনায় এফবি সাদ্দাম নামের একটি ফিশিং ট্রলার ডুবে যায়। এসময় ট্রলারে থাকা ১২ জন জেলে ও যাত্রীর মধ্যে ১১ জনকে উদ্ধার করা হয়। জেলে ও বাসিন্দারা সেন্টমার্টিন ঘাট থেকে যাওয়া কয়েকটি ফিশিং ট্রলার, সার্ভিস বোট ও স্পিড বোটে করে গিয়ে এই উদ্ধার তৎপরতা চালান। তখন উদ্ধার করতে যাওয়া আরেকটি স্পিড বোটও ডুবে যায়।

স্থানীয় বাসিন্দা ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, স্থানীয়রা জেলেদের উদ্ধারে সাগরে যান এবং ১১ জনকে উদ্ধার করেন। আরেকজনের খোঁজ পাননি তারা।

উদ্ধার ব্যক্তিদের নিয়ে ঘাটে ফিরলে কোস্ট গার্ডের সদস্যরা তাদের সঙ্গে ছবি তোলার চেষ্টা করেন। তখন উদ্ধারে যাওয়া লোকজন ও স্থানীয়রা তাদের ছবি তুলতে বাধা দেন। একপর্যায়ে উত্তেজিত লোকজন কোস্ট গার্ডের চৌকি হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে। কোস্ট গার্ড এ সময় ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এতে দ্বীপের কোনাপাড়ার করিম উল্লাহর ছেলে হামিদ হোসেন গুলিবিদ্ধ হন। কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, কোস্ট গার্ডের সঙ্গে স্থানীয়দের বিরোধ নিরসনে কাজ চলছে। এ ব্যাপারে কোস্ট গার্ডের কারও বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এছাড়া নিখোঁজ তিনজনকে উদ্ধারে কোস্ট গার্ড কোনো তৎপরতা চালাচ্ছে এমন কোনো তথ্যও পাওয়া যায়নি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমোহরা ও বাকলিয়ার ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে চেক বিতরণ
পরবর্তী নিবন্ধভেঙে দেওয়া হল আ. লীগের ঢাকা উত্তরের ২৭ ইউনিট কমিটি