ত্রিদেশীয় সিরিজ টানা দুই ম্যাচ জিতে প্রধম হার দেখলো টাইগার যুবারা। দঙিণ আফ্রিকার বিপক্ষে স্কোর বোর্ডে পুঁজি খুব বেশি ছিল না বাংলাদেশের, মোটে ১৭৫ রানের। হেসেখেলে জেতার অবস্থানেই ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২ উইকেটেই তারা তুলে ফেলে ১৪১ রান। তবে শেষদিকে প্রোটিয়াদের চেপে ধরেছিল বাংলাদেশের যুবারা। যদিও শেষ রক্ষা হয়নি। লড়াই করে শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেটে হেরেছে আজিজুল হাকিম তামিমের দল। এই জয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজে ৪ ম্যাচে ৬ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে গেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। এক ম্যাচ কম খেলে ৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন দুইয়ে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ে তিন ম্যাচ খেলে একটিও জিততে পারেনি। হারারেতে গতকাল বৃহস্পতিবার ১৭৬ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ধীর শুরু করে দক্ষিণ আফ্রিকা যুবদল। ওপেনার জরিচ ভন শালকউইককে ব্যক্তিগত ৬ রানেই সাজঘরের পথ দেখান আল ফাহাদ। তবে মিডলঅর্ডারের দৃঢ়তায় সহজ জয়ের পথ গড়ে ফেলে প্রোটিয়ারা। আরেক ওপেনার মোহাম্মদ বুলবুলিয়া করেন ৩৯ রান। ওয়ান ডাউন আরমান মানাক ৫৭ আর চার নম্বরে নামা অধিনায়ক জেসন রয়েলস খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। ২ উইকেটে ছিল ১৪১ রান। সেখান থেকে আর ১৮ রানের মধ্যে আরও ৩ উইকেট তুলে নিয়ে লড়াইয়ে ফিরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পারেনি। ভিহান প্রিটোরিয়াস ২১ রানে অপরাজিত থেকে ম্যাচ বের করে নিয়ে এসেছেন। বাংলাদেশের পেসার আল ফাহাদ ২৯ রানে শিকার করেন ৩টি উইকেট।
এর আগে হারারেতে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ১৭৫ রানেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। শুরু থেকেই প্রোটিয়া বোলারদের তোপের মুখে ছিল জুনিয়র টাইগাররা। ২২ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই ওপেনার জাওয়াদ আবরার (৭) আর রিফাত বেগ (৯)।রিজান হোসেনকে নিয়ে প্রাথমিক বিপর্যয় অনেকটা সামলে উঠেছিলেন অধিনায়ক আজিজুল তামিম। রিজান ফেরেন ৩৮ বলে ১৭ করে। এরপর আবার উইকেট হারানো মিছিল শুরু হয়। অধিনায়ক তামিমও হাফসেঞ্চুরির পর ইনিংস বড় করতে পারেননি। ৮১ বলে ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৫৯ রান করে ফেরেন তিনি। ১১৭ রানে তখন ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ১৩০ রানে হারায় ৮ উইকেট। তবে একটা প্রান্ত ধরে শেষ পর্যন্ত লড়াই করে গেছেন কালাম সিদ্দিকী। সঙ্গীর অভাবে ৬১ বলে ৩ চার আর ১ ছক্কায় ৪৯ রানে অপরাজিত থেকে যান তিনি। ৪৪.৫ ওভারে ১৭৫ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। দক্ষিণ আফ্রিকা যুবদলের জেসন রয়েলস ৩টি আর এনটানডো সনি ও বায়ান্ডা মাজুলা নেন ২টি করে উইকেট।