বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়ার আগে দারুণ প্রস্তুতি নিয়ে গেল পাকিস্তান ক্রিকেট দল। নিউজিল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা জিতেছে বাবর আজমের দল। গতকাল ক্রাইস্টচার্চে অনুষ্ঠিত সিরিজের ফাইনালে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ডকে ৫ উইকেটে পরাজিত করে শিরোপা জিতে নিউজিল্যান্ডের পাশের দেশ অস্ট্রেলিয়ায় গেল বিশ্বকাপে অংশ নিতে। দারুণ প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ফাইনালে পাকিস্তানকে শিরোপা এনে দিলেন মোহাম্মদ নাওয়াজ, হায়দার আলি ও ইখতিখার আহমেদের তিনটি দারুণ ইনিংস। ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের ১৬৩ রানের ইনিংসটি তিন বল বাকি থাকতেই পেরিয়ে যায় পাকিস্তান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ওভারেই উইকেটে হারায় নিউজিল্যান্ড। নাসিম শাহর প্রথম পাঁচ বলে তিনটি চার মারেন ফিন অ্যালেন। কিন্তু শেষ বলে ক্যাচ দেন নাওয়াজের হাতে। এরপর অধিনায়ক উইলিয়ামস ক্রিজে গিয়েই শট খেলতে থাকেন। অ্যালেনের দ্রুত বিদায়ের ধাক্কা খুব একটা বুঝতে পারেনি স্বাগিতকরা। আরেক ওপেনার ডেভন কনওয়েকে ফেরান হারিস রউফ। গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে দলকে দৃঢ় ভিতের উপর দাঁড় করান উইলিয়ামসন। ১০ ওভার শেষে স্বাগতিকদের রান ছিল ২ উইকেটে ৮৩। সেখান থেকে শেষ ১০ ওভারে ৮০ রান করতে পারে নিউজিল্যান্ড। ৩৬ বলে পঞ্চাশ ছুঁয়ে আর এগোয়নি স্বাগতিকদের তৃতীয় উইকেট জুটি। একটি করে ছক্কা ও চারের সাহায্যে ২২ বলে ২৯ রান করে ফিরেন ফিলিপস। ৩৩ বলে হাফ সেঞ্চুরি করা উইলিয়ামসন ফিরেন ৩৮ বলে দুই ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ৫৯ রান করে । ১৯তম ওভারে পরপর দুই বলে ফিরেন মার্ক চ্যাপম্যান ও জিমি নিশাম। ১০ বলে ১৭ রান করে রান আউট হন নিশাম। শেষ ২ ওভারে কেবল ১২ রান করে নিউজিল্যান্ড। পাকিস্তানের হারিস রউফ ২২ রানে নেন ২ উইকেট। নাসিম ২ উইকেট নেন ৩৮ রানে।
১৬৪ রান তাড়া করতে নামা পাকিস্তানের উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গে পঞ্চম ওভারে । ২৯ রান করেন বাবর এবং রিজওয়ান। ১৫ রান করে ফিরেন বাবর। একাদশ ওভারে শান মাসুদকেও ফিরিয়ে দেন অফ স্পিনার ব্রেসওয়েল। তিনি করেন ১৯ রান। শেষ ১০ ওভারে পাকিস্তানের প্রয়োজন ছিল ১০০ রান। এমন সমীকরণ মেলাতে পাকিস্তানকে সাহায্য করতে পারেননি মোহাম্মদ রিজওয়ান। ২৯ বলে ৩৪ রান করে দ্বাদশ ওভারে ইশ সোধির বলে ফিরেন এই ওপেনার। এরপর হায়দার ক্রিজে গিয়েই তোলেন ঝড়। তাকে অনুসরন করেন নাওয়াজ। দুই জনের জুটিতে রান আসতে থাকে বানের দ্রুত। তাদের ২৬ বলে গড়া ৫৬ রানের জুটি ভাঙে হায়দারের বিদায়ে। ৩১ রান করে ফিরেন হায়দার আলি। এরপর আসিফ আলি দ্রুত বিদায় নিলেও ইফতিখারকে নিয়ে বাকিটা সারেন নাওয়াজ। ইফতেখার ২৫ রানে এবং নাওয়াজ ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে মাত্র ১৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন ব্রেসওয়েল। লেগ স্পিনার সোধি ১ উইকেট পেয়েছেন ৫৮ রান দিয়ে।