বছর ঘুরে আবারোও ফিরে এল মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। নতুন চাঁদ আর মায়া মমতায় ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে সবাই একে অপরের সাথে ঈদের খুশি আর আনন্দ ভাগাভাগি করে নেয় – মন প্রাণ দিয়ে স্বাগত জানায় ঈদুল আযহাকে – ঈদ অর্থ উৎসব আর আযহা শব্দের অর্থ হল উৎসর্গ করা। সৃষ্টিকর্তার প্রতি অগাধ ভালোবাসায় প্রতিটি মুসলিম যার যার সামর্থ অনুযায়ী কোরবানী দেয়। তারা আল্লার সন্তুষ্টির অর্জনের জন্য উত্তম ও ভালো পশুকে মহব্বত করে, যত্ন করে লালন করে প্রাণীটিকে জবেহ করার মাধ্যমে ত্যাগের উৎসবে মেতে উঠে। ইতিহাসের বর্ণনা অনুযায়ী হযরত ইব্রাহিম ও হযরত ইসমাইল (আ🙂 এর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করেই ঈদুল আযহার মাধ্যেমে মহান আল্লাহতালা সৎ ও প্রকৃত ঈমানদারদের প্রতিদান দিয়ে থাকেন। এই কোরবানী বা ত্যাগের মাধ্যমে আল্লার আদেশে নিজপুত্র ইসমাইল আলাইহে ওয়া সাল্লামকে আল্লার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে কোরবানী করার জন্য হযরত ইব্রাহিম (আ🙂 এর ইচ্ছা ও ত্যাগের মহৎ কাজকে স্মরণ করা হয়। প্রতিটি মুসলমান জীবনের সকল দু:খ কষ্টগুলোকে সুখের সাথে মিশিয়ে দিয়ে পূর্ণ সানন্দে উদযাপন করার উদ্দেশ্যে একে অপরের সাথে ঈদগাহে মিলিত হয়। আত্নীয় স্বজন বিশেষত দুঃস্থ দরিদ্রজনদের প্রতি মমত্ববোধ ও ভালোবাসার মেল বন্ধন সৃষ্টি হয় ঈদের সকল আয়োজনে। ধরনীর বুকে নেমে আসে প্রশান্তির ছায়া। তাই তো সূর্য রাঙা ভোরে ঈদুল আযহার আগমনী বার্তা সবার মনে খুশির দোলা দিয়ে যায়।
মায়াময় প্রেমময় সুন্দর এই পৃথিবীতে ঈদ আসে মনকে রাঙিয়ে দিতে, প্রিয়জনদের সান্নিধ্য আর ভালোবাসায় মুখর হয়ে ওঠে ঈদের প্রতিটি ক্ষণ। বাঙালি মুসলমানরা আনন্দ আর উৎসাহের মধ্য দিয়ে পরিবার পরিজনকে নিয়ে সৌহার্দ ও সম্প্রীতির আবর্তে মিলিত হয়ে দৃঢ় করে আত্নার বন্ধন। ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হয় দেহ মন– ঈদের সকল আয়োজন।
