তোষাখানা মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক–ই–ইনসাফ (পিটিআই) দলের চেয়ারম্যান ইমরান খানকে দেওয়া তিন বছর কারাবাসের সাজা স্থগিত করেছে ইসলামাবাদ হাই কোর্ট (এএইচসি)। গতকাল মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি আমের ফারুক ও বিচারপতি মেহমুদ জাহানগিরির ডিভিশন বেঞ্চ বহুল প্রত্যাশিত এই আদেশটি দেন। খবর বিডিনিউজের।
গত ৫ অগাস্ট তোষাখানা মামলার রায়ে ইমরানকে তিন বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ রুপি জরিমানা করেছিলেন ইসলামাবাদের জেলা বিচারিক আদালত। পরে ৮ অগাস্ট ইসলামাবাদ হাই কোর্টে জেলা বিচারিক আদালতের এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আবেদন করেছিলেন ইমরান।
রায় ঘোষণাকালে বিচারপতি ফারুক বলেন, কিছুক্ষণের মধ্যেই রায়ের কপি পাওয়া যাবে। এখন আমরা জানাচ্ছি যে, ইমরানের আবেদন মঞ্জুর করা হয়েছে। ইমরানের আইনজীবী নাঈম হায়দায় পাঞ্জুথাও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) করা এক পোস্টে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেছেন, প্রধান বিচারপতি আমাদের অনুরোধ গ্রহণ করেছেন, সাজা স্থগিত করেছেন এবং সিদ্ধান্তের বিস্তারিত পরে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন।
তবে কারাবাসের সাজা স্থগিতও হলেও ইমরান সম্ভবত এখনই কারাগার থেকে ছাড়া পাচ্ছেন না। কারণ অফিসিয়াল সিক্রেটস অ্যাক্টের অধীনে হওয়া মামলাগুলোর শুনানির জন্য সম্প্রতি গঠিত বিশেষ আদালত অ্যাটক কারাগার কর্তৃপক্ষকে ইমরানকে ‘জুডিশিয়াল লকআপে’ রাখার নির্দেশ দিয়েছে বলে জানা গেছে। কারাবাসের সাজা হওয়ার পর থেকে ইমরানকে পাঞ্জাবের এ কারাগারটিতে রাখা হয়েছে, এটির অবস্থান রাজধানী ইসলামাদের কাছে। বিশেষ আদালত ইমরানকে আজ বুধবার সাইফার মামলায় হাজির করারও নির্দেশ দিয়েছে। অ্যাটক কারাগারের সুপার বরাবর পাঠানো এক চিঠিতে বিশেষ আদালতের বিচারক আব্দুল হাসনাত মুহাম্মদ জুলকারনাইন বলেছেন, অভিযুক্ত ইমরান খান নিয়াজি, বাবা– ইকরামুল্লাহ খান নিয়াজি, ঠিকানা– জামান পার্ক, লাহোর কে উল্লিখিত মামলায় জুডিসিয়াল রিমান্ডে রাখার জন্য আদেশ দেওয়া হচ্ছে, যিনি ইতোমধ্যেই অ্যাটক জেলা কারাগারে বন্দি আছেন। এই সাইফার মামলা একটি কূটনৈতিক নথি সম্পর্কিত, যা ইমরানের কাছ থেকে হারিয়ে গেছে বলে জানা যায়। পিটিআই অভিযোগ করে বলেছে, হারিয়ে যাওয়া এই নথিটিতে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ইমরানকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়ার’ হুমকি ছিল। একই মামলায় পিটিআইয়ের ভাইস চেয়ারম্যান ও পাকিস্তানের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ্ মাহমুদ কুরেশিকেও অভিযুক্ত করা হয়েছে।