আমার কথা চিন্তা করার তোমার অবসর নেই! কারণ আমি তোমার মাথার ভেতরেই বাস করি। মাথা থেকে ভো– দৌড় দিয়ে যাই হৃদয়ে, হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দিয়ে খেলা করি তোমার লোহিত কণিকার সাথে। তারপর ধমনীতে, শিরায়–উপশিরায় তুমি যখন আমায় অনুভব কর, তোমার কল্পলতায় বাতাসে আমি দোল খেয়ে যাই একটুখানি। ভোরের পাখি হয়ে গান শোনাতে আসি, আসি ঘুম ভাঙাতে। তোমার জানালার কাচে যখন ছুঁয়ে যায় সোনালী রোদ্দুর, আমি আসি ভালবাসা নিয়ে তোমার ঠোঁটের কোণে মিষ্টি হাসি হয়ে। সারাদিন তোমার ভাবনার সাথে খেলা করে যখন রাত আসে আমি তখনো তোমাতে মিশে থাকি, তারপর আরো থাকি, তারপর আরো, আরো বেশি, যতক্ষণ মন না ভরে, যতক্ষণ রাত না ফুরায় যদি হয়ে যায় ভোর, তারপরও তুমি থাকো, তুমি মিশে থাকো আমার সত্তায়, ভুলিয়ে রাখো আমাকে আমার আমি থেকে তুমি বাঁচিয়ে রাখো আমায় অঙিজেন হয়ে, তুমি বাঁচিয়ে রাখো আমায় স্বপ্ন দেখিয়ে, তুমি জাগিয়ে রাখো আমায় ঘুম হারানো রাতে তুমি জাগিয়ে রাখো আমায় রাতের আঁধারে। তুমি জানো কি সব নেশার চাইতে বড় কোন নেশা? প্রেম এর নেশা! ঘ্রাণ এর নেশা! রক্ত মাংসের নেশা! শুধুই নেশা নেশা লাগে সব– নেশাতে মাথা ঘুরোয়– চোখে দেখা যায় না পথ–পথ হারিয়ে আমি দিশেহারা, প্রচুর আলোর ঝলকানিতে চোখ ঝলসে গেছে, মাথায় কেবল নেশা, তোমার নেশা, তোমার শরীর টানে, নেশা ধরায় কাঁচা মনে, বাঁকা চোখেতে নেশার মরীচিকা; রাতের আঁধারে আমি মরীচিকা, দিনের আলোতে আমি বিভীষিকা! আর নিজেকে আমি নিজেই বুঝিনা, কি চাই, কখন চাই, কি চাই না, কখন চাই না, বুঝি না! হয়তো খামখেয়ালি আমার চাই তুমি, কিন্তু আমি পাব না, তাই অভিমান করে আর চাইনা, তোমাকে পাব না, তাই চাই না।