আলস্যে ভরা মধ্যে দুপুরের ক্লান্তি লগ্নে
মনে পড়ে গেল, তুমি তো আছ, নিঃশব্দে
নিঃসন্দেহে, নিঃসৃত আমার মনোলোকে
আনন্দভুবনের একমাত্র পরিপক্ক বন্ধু হয়ে।
মনের গহীনে একমাত্র শুধু
তোমাকেই চাই বলে
সময় কাটানোর নানা বাহানায় নানা ছলনায়
হাজারো খুনসুটিতে বারংবার নিমগ্ন হয়ে পড়ি
তোমার ছেলেমিতে, তোমার দুরন্তপনায়।
আত্মোপলব্ধিতে নিজেকে হারাই যেন বারবার
খুশির আমেজে, কখনো বা ভেসে বেড়াই
স্বপ্নলোকের, আনন্দময়, মহাসাগরীয় তলদেশে
কখনো গভীর দুঃখে চোখের জলের ধারায়
প্লাবিত হয় আমার গন্ডদেশ আমার মনোলোক
তবু ও তোমার মাঝে হারিয়ে, তোমাকে পাই
বারে বারে, একান্ত আপন ভুবনের আঙিনায়,
এভাবে কখন যে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হয়
সুর্য ডুবে গিয়ে অন্ধকার নেমে আসে পৃথিবীতে
আর তুমি, তোমার সান্নিধ্যে ভুলিয়ে রাখ
সযত্নে, সাবলীল নির্ভেজাল ভালবাসার গহীনে
হঠাৎ সুমধুর আযানের ধ্বনি তে, গীর্জার
ঢং ঢং আওয়াজ, সন্ধ্যার আরতির শব্দে, মুহূর্তে
ফিরে আসি অপার্থিব আনন্দের ভুবন থেকে,
তোমায়, তখন বন্ধ করে রেখে দেই
আলমারির প্রকোস্টে।
আবার হয়তো তোমায়, আলতো করে ছুঁয়ে
তোমার পাতায় পাতায় ভালোবাসার,
পরশ বুলিয়ে দিয়ে একমাত্র তোমাকেই পাশে নিয়ে
একাকিত্বের বেড়াজালে রাত কাটাবো
পেঁচা-ডাকা কোনোএক নির্ঘুম ক্লান্তি ভরা রাতের সাথে।