কক্সবাজারে দুর্দান্তভাবে ঘুরে দাঁড়াল বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ নারী দল। পাঁচ ম্যাচ টি–টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব–১৯ নারী দলকে হারিয়েছিল পাকিস্তান অনূর্ধ্ব–১৯ নারী দল। পরের ম্যাচেই অবশ্য সমতা ফিরিয়েছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। এবার তৃতীয় ম্যাচে এসেও জয় তুলে নিল বাংলাদেশের মেয়েরা। রোববার কক্সবাজার একাডেমি মাঠে নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সফরকারীদের এদিন ৭ উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এই জয়ে পাঁচ ম্যাচ সিরিজে ২–১ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে গেল লাল–সবুজের মেয়েরা। টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতে ভালো আভাস দিয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক ইমা নাসের। আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ১৬ বলে করেন ২৩ রান। তবে তিনিই ছিলেন দলের সেরা স্কোরার। এক প্রান্তে পাকিস্তানের টপ ও মিডল অর্ডার বারবার থেমে যায় বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে। মাত্র ২৪ রানে ৩ উইকেট এবং ৩১ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে পাকিস্তান। মাঝে ৩৩ বলে ১৪ রান করেন জুফিশান আয়াজ। শেষ দিকে মেমুনা খালিদ ১৮ এবং মাহনুর জেব ১২ রান করে দলের সংগ্রহ দাঁড় করান ৮৬ রানে।
বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে সবচেয়ে কার্যকর ছিলেন হাবিবা ইসলাম পিংকি ও অতশি মজুমদার। দুজনই নেন ২টি করে উইকেট। ৮৭ রানের মামুলি লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি বাংলাদেশেরও। দলীয় ৮ রানের মধ্যে দুই ওপেনারকে হারিয়ে চাপে পড়েছিল স্বাগতিকরা। পরে তৃতীয় উইকেট জুটিতে জান্নাত ইমান্তা ও সাদিয়া ইসলাম জুটি গড়েন। সেখান থেকে ম্যাচ ঘুরিয়ে দেন অধিনায়ক সাদিয়া ইসলাম। দারুণ আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিংয়ে ৩টি চার ও ৩টি ছক্কায় ২৮ বলে করেন ৩৫ রান। সাদিয়া ৩৫ রান করে ফিরলেও ডানহাতি ব্যাটার ইমান্তা ২৫ বলে ৩০ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন। মাইমুনা নাহারকে সঙ্গে নিয়ে শেষ পর্যন্ত দলকে জয়ের ঠিকানায় পৌঁছে দেন তিনি। শেষ পর্যন্ত ৩৯ বল হাতে রেখেই ৭ উইকেটের বড় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ। চমৎকার ব্যাটিংয়ের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন অধিনায়ক সাদিয়া ইসলাম। সিরিজের চতুর্থ টি–টোয়েন্টি বুধবার একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।












