চটগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা এম রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, তৃণমূল নয়, শেখ হাসিনার সিদ্ধান্তের বিরোধিতাকারীরা ছিন্নমূল। গতকাল শুক্রবার বিকাল ৪টায় চট্টগ্রাম–১১ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এম আবদুল লতিফের পক্ষে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় উপরোক্ত মন্তব্য করেন মেয়র। ৩৭ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী–সমর্থকসহ সর্বস্তরের জন সাধারণের সাথে মুন্সীপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। তিনি আরো বলেন, যুগে যুগে এটা প্রমাণিত হয়েছে যে আওয়ামী লীগের নেতারা ভুল করলেও তৃণমুল কর্মী সমর্থকরা কখনোই শেখ হাসিনা ও নৌকার প্রশ্নে আপোষ করে নাই। এবারও কিছু ছিন্নমূল নেতার কথায় আওয়ামী লীগের বিশাল কর্মী সমর্থক বিভ্রান্ত হবে না।
প্রধান আলোচক চট্টগ্রাম–১১ আসনের তিনবারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য এম আবদুল লতিফ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে আপনাদের খেদমতের সুযোগ দিয়েছেন। আমি সাধ্য মতো সেই চেষ্টা করেছি। আমি ব্যানার পোস্টারের রাজনীতি করি না। এলাকার প্রতিটি স্কুল কলেজে গরীব ছাত্র–ছাত্রীদের বেতন, পরীক্ষার ফি ইত্যাদির জন্য টাকা দিয়ে রেখেছি। বিদেশগামীদের জন্য চীনা–জাপানী–কোরিয়ান ভাষা শিক্ষাসহ বিভিন্ন টেকনিক্যাল কোর্সে ফ্রিতে ট্রেনিংয়ের ব্যবস্থা করেছি। আর আমার এলাকায় জননেত্রী শেখ হাসিনা দইজ্জের তলে গাড়ি চলার ব্যবস্থা থেকে রিং রোড, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে, হাসপাতাল সহ হাজার হাজার কোটি টাকার যেসব উন্নয়ন কাজ করেছেন সেসব আপনারা প্রতি ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়ার ব্যবস্থা করেন। বন্দর সিবিএর সভাপতি মোহাম্মদ আজিমের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক নায়েবুল ইসলাম ফটিক এবং নগর যুবলীগ নেতা সালাউদ্দিন বাবরের সঞ্চালনায় এতে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মাহাবুবুল হক মিয়া। মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য রাখেন ৩৮ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, দি চিটাগং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ওমর হাজ্জাজ, মহানগর যুবলীগের সহসভাপতি দেবাশীষ পাল দেবু, ৩৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আকবর হোসেন কবি, ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকের আহম্মদ খোকন, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহসম্পাদক মেজবাহ উদ্দিন মোর্শেদ, লবন শ্রমিক লীগ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মতিন মাস্টার, শ্রমিক নেতা ইমাম হোসেন, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সৈয়দ আহম্মেদ বাদল, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মুছা আল নূরী, ৩৭ ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহসম্পাদক সৈয়দ হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. ফরিদ প্রমুখ।












