তুরস্কের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে রাশিয়ার তৈরি ময়েশ্চার সেপারেটর স্থাপন

| শনিবার , ১১ মে, ২০২৪ at ৭:১৬ পূর্বাহ্ণ

তুরস্কের নির্মাণাধীণ প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের এক নম্বর ইউনিটের টার্বাইন হলে রাশিয়ার তৈরি অত্যাধুনিক হরাইজন্টাল ময়েশ্চার সেপারেটর রিহিটার (এমএসআর) স্থাপন করা হয়েছে। এমএসআর গুলোর কাজ হলো বাষ্পের তাপমাত্রা ও আদ্রতা নিয়ন্ত্রণ করা। এই বাষ্পই টার্বাইনের রোটরের ব্লেডগুলোকে ঘুরায়। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রসাটম। খবর বাংলানিউজের।

রসাটমের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিকে বলা হয়, প্রকল্পে স্থাপিত এ এমএসআর এর কার্যক্রমের মূলনীতি হলো সেন্ট্রিফিউগাল এক্সিলারেশন, যার ফলে বাষ্প এবং পানির পৃথকীকরণ সম্ভব হয়। সেপারেটরের মধ্য দিয়ে অতিক্রম কালে বাষ্প ও পানির মিশ্রণ বৃত্তাকারে ঘুরতে থাকে। পানির বড় কণাগুলো সেপারেটরের দেয়ালে জমা পড়ে, যেগুলো পরে ড্রেইন নজলের মাধ্যমে অপসারণ করা হয়। ভেজা বাষ্পের সঙ্গে সেপারেটরের যে দেয়ালের সংস্পর্শ ঘটে তা তৈরিতে ব্যবহৃত হয় ফেরিটিক স্টেইনলেস স্টিল, যা ক্ষয় প্রতিরোধী। প্রতিটি সেপারেটরের ওজন ৩১৭টন, দৈর্ঘ্য ২২মিটার এবং প্রস্থ ৪.৫মিটার।

তুরস্কের আকুইয়ু এনপিপি’র জন্য বিশেষভাবে এই হরাইজন্টাল এমএসআর তৈরি করেছে রসাটম। ইতোপূর্বে রাশিয়ায় যে সকল এমএসআর তৈরি হতো, সেগুলো ছিল ভার্টিক্যাল। নতুন এই ডিজাইনে নির্মানগত ও কার্যক্রমগত অনেক সুবিধা রয়েছে। এগুলো আগের গুলোর তুলনায় দক্ষ, নির্ভরযোগ্য ও মূল্যসাশ্রয়ী। আকুইয়ু নিউক্লিয়ারের ফার্স্ট ডেপুটি সিইও এবং আকুইয়ু এনপিপি নির্মাণ প্রকল্পের পরিচালক সের্গেই বুচকিখ জানান, নতুন হরাইজন্টাল এমএসআর স্থাপনে সময় অনেক কম লেগেছে। টার্বাইন প্ল্যান্ট পরীক্ষার পূর্বে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ। আকুইয়ু এনপিপি তুরস্কের প্রথম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এটিতে চারটি ইউনিট থাকবে এবং প্রতিটির উৎপাদন ক্ষমতা ১,২০০মেগাওয়াট। রিয়্যাক্টর হিসেবে ব্যবহৃত হবে ৩+ প্রজন্মের রুশ ভিভিইআর১২০০। একই ধরনের রিয়্যাক্টর বাংলাদেশের রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রেও স্থাপিত হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজামিন পেলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল
পরবর্তী নিবন্ধমালদ্বীপ থেকে সব সেনা প্রত্যাহার করল ভারত