শূন্যরেখা থেকে নাইক্ষ্যংছড়ির তুমব্রুতে চলে যাওয়া রোহিঙ্গাদের আজ রোববার নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ট্রানজিট ক্যাম্পে নেয়া শুরু হচ্ছে। এই ক্যাম্প কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন টিভি টাওয়ারের পাশে অবস্থিত। ১৭ দিন পর প্রথম দফায় নেয়া হচ্ছে ৩৫ পরিবারের ১৮০ জন নিবন্ধিত রোহিঙ্গাকে। আজ সকাল ৮টা থেকে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের গাড়িতে করে এসব রোহিঙ্গাকে সরানোর কাজ শুরু হবে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ। তিনি জানান, গতকাল সারা দিন এসব রোহিঙ্গাকে তার পরিষদে সরানোর কাজ সম্পন্ন হয়। এখানে শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের ২ কর্মকর্তার অধীনে ডজনাধিক স্টাফ কাজ করেছেন।
তার দেয়া তথ্য মতে, প্রথম দিন আজ ৩৫ পরিবারের ১৮০ জনকে তার ইউনিয়ন এলাকার পশ্চিমাংশে অবস্থিত কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পূর্বাংশের ট্রানজিট ক্যাম্পে রাখা হবে। নিবন্ধিতদের প্রত্যেককে স্লিপ দেয়া হয়েছে। সেখানে কোন রোহিঙ্গাকে কোন ক্যাম্প বা সেটে পাঠানো হবে তা উল্লেখ করে দেয়া হয়েছে। নম্বর উল্লেখ আছে। এসব স্লিপের নিচে স্বাক্ষর করেছেন শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের এক কর্মকর্তা। তার নাম প্রিতম সাহা।
তুমব্রু কোনারপাড়ায় আরসা ও আরএসও সংঘর্ষের জের ধরে গত ১৮ জানুয়ারি তুমব্রু গ্রামে আশ্রয় নেয় শূন্যরেখার রোহিঙ্গারা। বর্তমানে এখানে ৫৫৮ পরিবারের ২৯৭০ জন রোহিঙ্গা অবস্থান করছে। এদের মধ্যে ৩৭৭ রোহিঙ্গা পরিবারের ২ হাজার ৯৮ জন নিবন্ধিত। বাকি ১৭৯ পরিবারের ৮৭২ জন অনিবন্ধিত।