নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুমের তুমব্রুতে আশ্রয় নেয়া ২৯৭০ জন রোহিঙ্গাকে ৩ স্তরে অন্যত্র সরানো হচ্ছে। এই সিদ্ধান্ত আজ–কালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার মিজানুর রহমান।
তিনি বলেন, তুমব্রুতে তাঁবুতে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গা রয়েছে নিবন্ধিত, অনিবন্ধিত ও দাগী। এদের মধ্যে নিবন্ধিতদের নেয়া হবে পার্শ্ববর্তী কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে। অনিবন্ধিতদের কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন ঘুমধুম ইউনিয়ন এলাকায় অবস্থিত রোহিঙ্গা ট্রানজিট সেন্টারে। আর দাগীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত হবে পরে। তিন স্তরে তুমব্রুর রোহিঙ্গাদের অন্যত্র সরানো হচ্ছে।
ঘুমধুম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আজিজ জানান, রোববার ও সোমবারের পর গতকাল আরো কিছু রোহিঙ্গা পরিবারের হদিস পেয়েছেন তারা। সর্বশেষ তথ্যে তুমব্রু সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তুমব্রু গ্রামের নানা প্রান্তে থাকা রোহিঙ্গাদের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৯৭০ জন। ৮ গণনাকারী গতকাল বিকাল পর্যন্ত ৩ দিন ধরে এদের চূড়ান্ত ডাটা এন্ট্রি করেছেন। তিনি বলেন, রোহিঙ্গারা তুমব্রু গ্রামের জন্যে বিষফোঁড়া। এদের যত দ্রুত সরানো হয় তত মঙ্গল।
এদিকে তুমব্রু বাজার ও আশপাশের লোকজন জানান, তুমব্রু থেকে অনেক রোহিঙ্গা ঘুমধুম, নাইক্ষ্যংছড়ি, উখিয়া, কক্সবাজার, রামু, চকরিয়া ও চট্টগ্রামে পালিয়েছে। যে কারণে সোয়া ৪ হাজার রোহিঙ্গার মধ্যে ৫৫৭ পরিবারে ২৯৭০ জন রোহিঙ্গা গণনার সময় হদিস মিলেছে। এক হাজারের বেশি রোহিঙ্গা লাপাত্তা।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোমেন শর্মা বলেন, মূলত বিষয়টি ইউএনএইচসিআরের। সাথে কক্সবাজার রোহিঙ্গা শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার অফিসের। তাদেরকে আজ–কালের মধ্যে অন্যত্র সরানো হচ্ছে উপর মহলের সিদ্ধান্তে।












