গলায় গলা মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধের অনুপ্রেরণাদায়ী গান ‘তীর হারা এই ঢেউয়ের সাগর পাড়ি দেবরে’ গাইলেন কয়েকশ মানুষ। পরপর গাওয়া হল ‘মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম’, ‘ও ভাই খাঁটি সোনার চেয়ে খাঁটি’, ‘চল্ চল্ চল্’সহ কয়েকটি কালজয়ী গান। অসময়ে গানগুলোই হয়ে উঠল প্রতিবাদের ভাষা। ছায়ানট আক্রান্ত হওয়ার প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকেলে ধানমণ্ডির ছায়ানট সংস্কৃতি–ভবনের সামনে ‘গানে গানে সংহতি–সমাবেশ’ অংশ নেন কয়েকশ’ মানুষ। খবর বিডিনিউজের।
দেশের প্রথিতযশা শিল্পী, সাহিত্যিক, নালন্দা বিদ্যালয়ের অভিবাবকসহ বিভিন্ন বয়সী মানুষ গলা মিলিয়ে গান গেয়ে প্রতিবাদ জানান সেখানে। ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরীফ ওসমান হাদির মৃত্যুর পর গত বৃহস্পতিবার রাতে প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকার পাশাপাশি হামলা হয় ছায়ানট ভবনেও। হামলায় গুঁড়িয়ে–পুড়িয়ে দেওয়া হয় বিভিন্ন শিল্পকর্ম, বাদ্যযন্ত্র, সংগীতের উপকরণসহ পুরনো দস্তাবেজ। মঙ্গলবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদের অংশ হিসেবে একঘণ্টায় ১২টির মতো গান গাওয়া হয়। বিভিন্ন বয়সী মানুষ ব্যানার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে প্রতিবাদে অংশ নেন। জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে শেষ হয় গানে গানে সংহতির সমাবেশ। এভাবে সাংস্কৃতির ওপরে হামলার ঘটনাগুলো আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে ক্ষুন্ন করছে। আমাদের সন্তানদের জন্য হলেও এগুলোর প্রতিবাদ জানাতে হবে। সমাবেশে অংশ নেওয়া কয়েকজন ঘটনাকে দেশীয় সাংস্কৃতির ওপর হামলা হিসেবে বর্ণনা করেন। তারা এসব হামলার প্রতিবাদ চালিয়ে যাওয়ারও প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।












