তিন হাজার কেজি পলিথিন জব্দ গোডাউন সিলগালা-জরিমানা

নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ৭ জুলাই, ২০২৩ at ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ

নগরীর কোতোয়ালী থানাধীন জেল রোড, রিয়াজুদ্দিন বাজার, বাকলিয়ার আছদগঞ্জ ও চাক্তাই এলাকায় নিষিদ্ধ পলিথিন বিরোধী অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। এসময় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে তিন হাজার কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়েছে। একটি গোডাউন সিলগালা করে দেয়া হয়েছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা করা হয়েছে ৪৩ হাজার টাকা। গতকাল সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথক তিনটি অভিযানে এ পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন চান্দগাঁও সার্কেলের এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা, বাকলিয়া সার্কেলের এসিল্যান্ড ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম এন জামিউল হিকমা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট হুছাইন মুহাম্মদ। এর মধ্যে জেল রোডে অভিযান পরিচালনা করেন ম্যাজিস্ট্রেট মাসুদ রানা। তিনি ১০টি দোকান পরিদর্শন করেন। কিন্তু সেখানে কোন পলিথিন পাওয়া যায়নি। তবে তালাবদ্ধ একটি গোডাউনে পলিথিনের ব্যাপক মুজদ দেখতে পান তিনি ও তার সাথে থাকা টিম। একপর্যায়ে গোডাউনটির ১১টি কক্ষের তালা ভেঙ্গে প্রায় ২টন পলিথিন জব্দ করা হয়। এসময় গোডাউনের মালিক পালিয়ে যাওয়ায় গোডাউনের সবগুলো কক্ষে তালা লাগিয়ে সিলগালা করে দেওয়া হয়। ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাসুদ রানা বলেন, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতি ব্যাতিরেকে সিলগালা খোলা হবে না। যিনিই অনুমতি নিতে যাবেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একজন ব্যবসায়ীকে দোকানে অল্প কিছু পলিথিন রাখার অপরাধে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় বলেও জানান তিনি। রিয়াজুদ্দিন বাজার এলাকায় পরিচালিত অভিযানে বেশ কিছু দোকান থেকে ৬০০ কেজি পলিথিন জব্দ করেন ম্যাজিস্ট্রেট এস এম এন জামিউল হিকমা। এ সময় মাহফুজ সালাম ও মো. আব্দুর রহমান নামের দুই ব্যক্তিকে তিন হাজার করে ছয় হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। নগরীর আছদগঞ্জ, চাক্তাই ও আশেপাশের এলাকায় পরিচালিত অভিযানে সাতটি কারখানা ও ২০ টি মজুদকারী প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়। এদের মধ্যে বিসমিল্লাহ পলি ইন্ডাস্ট্রিজ, সামরিন এন্টারপ্রাইজ, শাহজালাল প্যাকেজিং এন্ড প্রিন্টিং, মিজান পলিথিন মার্ট, যমুনা পলি, প্রাইম পলি, চিটাগং এক্সেসরিজ অন্যতম। নিষিদ্ধ পলিথিন মজুদ রাখার দায়ে এসব প্রতিষ্ঠানের মধ্য থেকে ৪টি প্রতিষ্ঠানকে ৩২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া ৩৭৬ কেজি পলিথিন জব্দ করা হয়। জেলা প্রশাসনসূত্র জানায়, জব্দকৃত সকল পলিথিন ধ্বংস করার জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে। পরিবেশ অধিদপ্তরের ৩ জন সহাকারী পরিচালক, পাট উন্নয়ন সহকারী ও সিএমপির একটি টিম অভিযানে সহায়তা করেন।

অভিযান বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, চট্টগ্রাম নগরীকে পলিথিনমুক্ত করার লক্ষ্যে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং এ ব্যাপারে প্রশাসন আরও কঠোর হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবান ও রাঙামাটিসহ ১০ জেলায় নতুন ডিসি
পরবর্তী নিবন্ধগুলিয়াখালীতে ভেসে উঠল নিখোঁজ পর্যটকের লাশ