‘তিন সন্তান নীতি’ পরিকল্পনায় আনছে চীন

| শনিবার , ১ মে, ২০২১ at ৮:৪৬ পূর্বাহ্ণ

১৯৭৯ সালে এক সন্তান নীতি চালু করেছিল চীন সরকার। যা অর্থনীতিতে ভালো প্রভাব ফেলেছিল। মানুষের সঞ্চয়ের জায়গা বেড়েছিল কিন্তু সেখানকার বয়স্কদের দেখাশোনার অভাবের সাথে সাথে অনেক পরিবার সন্তানহীন হয়ে পড়ে। অবশেষে চীন সরকার ২০১৬ সালে দুই সন্তানের অনুমতি দেয়। তবে বর্তমানে ভারত, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় থাকতে তিন সন্তানের নীতি পরিকল্পনায় আনছে তারা। এদিকে, চীনা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালে বেইজিংয়ে জন্মহার সর্বনিম্ন। করোনা মহামারির পর বিয়ের সংখ্যাও কমেছে বলে জানিয়েছে চীনা গণমাধ্যম। চীনা বিশেষজ্ঞদের দাবি, এভাবে যদি জনসংখ্যা কমে তাহলে আগামী ২০২২ সালের মধ্যে বেইজিংয়ের জনসংখ্যা কমতে শুরু করবে। ২০২৭ সালে সমগ্র চীনের জনসংখ্যাও নিম্নমুখী হবে। চীনা জনসংখ্যার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, ২০২০ সালে বেইজিংয়ে ১ লাখ ৩৬৮টি শিশু জন্ম নিয়েছে। ২০১৯ সালে প্রায় ১ লাখ ৩২ হাজার ৩৬৮ বেশি শিশু জন্ম নিয়েছিল, অর্থাৎ ৩২ হাজার বেশি শিশু জন্ম নিয়েছিল। চীনের গবেষকরা বলছেন, ২০২২ সালে থেকে সমগ্র চীনেই কমতে শুরু করবে জনসংখ্যা। দেশটির প্রশাসনের দাবি, দক্ষিণ চীনের গুয়াংডং প্রদেশেও, ঝেনজিয়াং যা পূর্ব চীনে অবস্থিত সেখানেও ব্যপকভাবে কমেছে নবজাতকের সংখ্যা। সমগ্র চীনেই যে তাদের জন্মহার নীতি ফলপ্রসূ হচ্ছে তা স্পষ্ট। যে হারে জন্ম নিয়ন্ত্রণ করা হয়েছে তার ফলে বছরে এক কোটির কম শিশুর জন্ম হতে পারে সে দেশে। জনসংখ্যা হ্রাস চীনের জন্য সুখবর নয়। কারণ চীনের এই ব্যাপক উন্নত অর্থনীতির পিছনে রয়েছে বিপুল জনসংখ্যা। কম খরচ করে বেশি কাজ করিয়ে দেশে উৎপাদন করা হয় পণ্য। জনসংখ্যা কমলে অন্যান্য দেশে পণ্য চাহিদা যদি একই থাকে তাহলে কম লোক থাকার জন্য তখন তৈরি করতে পারবে না তারা। পাশাপাশি ওই কম টাকায় বেশি খাটিয়ে নেওয়ার নীতিও বন্ধ করতে হবে। বেশি টাকায় কাজ করতে হবে। অর্থনৈতিক টানের প্রভাব পড়বে চীনা অর্থনীতিতে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসিংহাসনে আরোহণের ১ মাস পর মৃত্যু জুলু রানির
পরবর্তী নিবন্ধইসরায়েলে ধর্মীয় উৎসবে পদদলনে নিহত ৪৪