তিন লাশ হস্তান্তর, নিরাপত্তা জোরদার

রোয়াংছড়ির ঘটনা

বান্দরবান প্রতিনিধি | বুধবার , ১০ মে, ২০২৩ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

বান্দরবানের রোয়াংছড়িতে বম জনগোষ্ঠীর ৩ জনের লাশ উদ্ধারের ঘটনায় আশপাশের এলাকাগুলোতে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গতকাল ময়না তদন্তের পর লাশগুলো বম জনগোষ্ঠীর সংগঠন বম এসোসিয়েশনের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও স্থানীয়রা জানান, আধিপত্য বিস্তারের জের ধরে রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের পাইখ্যং পাড়া এলাকায় বম জনগোষ্ঠীর ৩ জনকে হত্যা করা হয়।

সংগঠনের সভাপতি লালজার বম বলেন, নিহত তিনজনের লাশ গ্রহণ করেছি। লাশগুলো ধর্মীয় রীতি অনুসারে সমাহিত করা হবে। নিহতরা হলেন রোয়াংছড়ি সদর ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নেমথাং বম, ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেলের চালক লাল লিয়ান ও সিম লিয়ান।

পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কুকি চীন ন্যাশনাল ফ্রন্টের (কেএনএফ) সাথে সম্পৃক্তএ ধারণা থেকেই পাহাড়ের সশস্ত্র সংগঠন মগ লিবারেশন পার্টি (মগ বাহিনী) তাদের ধরে নিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে বলে দাবি করেছেন স্থানীয়রা।

এদিকে সোমবার রোয়াংছড়িতে ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিক) ও মগ লিবারেশন পার্টির মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। গত মাসের ৭ এপ্রিল রোয়াংছড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের খামতান পাড়া এলাকা থেকে বম জনগোষ্ঠীর ৮ জনের লাশ উদ্ধার করে যৌথ বাহিনী। ২৭ এপ্রিল রুমা উপজেলার মুয়ালপি পাড়া এলাকা থেকে বম জনগোষ্ঠীর একজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহতরা সকলেই কেএনএফের সদস্য বলে জানা গেছে। গত কয়েক মাস ধরে ইউপিডিএফ গণতান্ত্রিকের সাথে কেএনএফের গোলাগুলি হচ্ছে। মগ বাহিনীও সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে।

সোমবার বম জনগোষ্ঠীর ৩ জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। আশপাশের গ্রামবাসী বিভিন্ন স্থানে গিয়ে আশ্রয় নিয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় সেনাবাহিনীসহ যৌথ বাহিনীর পক্ষ থেকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার মো. তারিকুল ইসলাম বলেন, গুলিবিদ্ধ ৩ জনের মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর বম এসোসিয়েশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। হত্যার সঙ্গে কারা জড়িত বিষয়টি এখনো নিশ্চিত নই। মামলার প্রস্তুতি চলছে। পরিস্থিতি মোকাবেলায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচবি ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মারজানের পদত্যাগ
পরবর্তী নিবন্ধআসামবস্তি-কাপ্তাই সড়ক যেন মুগ্ধতার হাতছানি