তিন মাসের আহ্বায়ক কমিটি দিয়ে ৯ বছর পার

চন্দনাইশ স্বেচ্ছাসেবকলীগ

চন্দনাইশ প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২২ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ at ৪:৫৬ পূর্বাহ্ণ

তিন মাসের জন্য গঠিত হওয়া চন্দনাইশ স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক কমিটি ৯ বছরেও সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি। বিগত ২০১৪ সালের ১৮ জুন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক ও সাতকানিয়া পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ জোবায়ের স্বাক্ষরিত ৪১ সদস্য বিশিষ্ট চন্দনাইশ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের আহ্বায়ক কমিটি তিন মাসের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়। কমিটিতে সেলিম হোসেনকে আহ্বায়ক, দিদারুল হক দস্তগীর, মফিজুর রহমান বাহাদুর ও প্রবীন দাশ সুমনকে যুগ্মআহ্বায়ক করা হয়েছিল। উক্ত কমিটিকে তিন মাসের মধ্যে সকল ইউনিয়ন সম্মেলন সম্পন্ন করে উপজেলা সম্মেলনের মাধ্যমে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেয়া হলেও দীর্ঘ ৯ বছরেও সম্মেলন করে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করতে পারেনি।

জানা যায়, স্থবির হয়ে পড়া চন্দনাইশ স্বেচ্ছাসেবক লীগের ও সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার উদ্যোগ নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় কমিটির দুই সদস্য মোদাব্বির হোসাইন শাহীন ও বোখারী আযমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। তারা গত ১৮ মার্চ চট্টগ্রাম আসেন এবং কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশের প্রেক্ষিতে চন্দনাইশে একটি বর্ধিত সভা করেন। উক্ত বর্ধিত সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী এপ্রিল মাসের মধ্যে সকল ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন সম্মেলন ও সদস্য সংগ্রহ কর্মসূচি পালনের নির্দেশ দিলেও ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন সম্মেলন করতে পারেনি বলে অভিযোগ উঠেছে উক্ত আহ্বায়ক কমিটির বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে কেন্দ্রীয় দায়িত্ব প্রাপ্ত ওই দুই নেতা গত ২২ জুলাই দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি মোহাম্মদ জোবায়ের, সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী মোহাম্মদ গালিব ও চন্দনাইশ স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক সেলিম হোসেনের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং ২২ সেপ্টেম্বর (আজ) চন্দনাইশ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন করার তারিখ নির্ধারণ করা হয়। কিন্তু এবারও সম্মেলনের কোনো কার্যক্রম হাতে নেয়া হয়নি। এতে সংগঠনের কর্মীদের মাঝে হতাশা বিরাজ করছে। স্থবিরতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে চন্দনাইশ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগে।

এদিকে দীর্ঘ ৯ বছর সংগঠনের কোনো উল্লেখযোগ্য কর্মসূচি না থাকায় স্বেচ্ছাসেবকলীগের নেতৃত্বের বিকাশ ঘটেনি। ৯ বছরে একটিও নির্বাহী কমিটির সভা আহ্বান না করা, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ১৫ আগস্ট, ২১ আগস্ট ও জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীসহ কোনো জাতীয় দিবস পালন না করাসহ নানা অভিযোগ উঠে উক্ত কমিটির বিরুদ্ধে। এসব বিষয়ে অভিযোগ তুলে গত জুন মাসে আহ্বায়ক কমিটির ১৫ সদস্য স্বাক্ষরিত একটি চিঠি কেন্দ্রে প্রেরণ করা হয়।

এ ব্যাপারে চন্দনাইশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় নেতা মোদাব্বির হোসাইন শাহীন জানান, ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয়ভাবে চন্দনাইশে সদস্য সংগ্রহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয় এবং বর্ধিত সভার মাধ্যমে সদস্য সংগ্রহের বই উদ্বোধন করা হয়। উপজেলার প্রত্যেকটা ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন থেকে সদস্য সংগ্রহের পর ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলন করার সিদ্ধান্তও গৃহিত হয়। অথচ সংগঠনকে শক্তিশালী করার জন্য আমাদের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে যে উদ্যোগ নেয়া হয়েছিল সে ব্যাপারে আমরা আহ্বায়ক কমিটির কাছ থেকে কোনো ধরনের সহযোগিতা পাইনি। আাগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে চন্দনাইশ স্বেচ্ছাসেবকলীগের সম্মেলন করা না করার ব্যাপারে তিনি কেন্দ্রীয়ভাবে আলোচনার পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন।

এ ব্যাপারে চন্দনাইশ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের আহ্বায়ক সেলিম হোসেন জানান, ইতিমধ্যে চন্দনাইশের ২টি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়নের মধ্যে ৬টি ইউনিয়নের ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটি গঠন করা হয়েছে। শুধু হাশিমপুর ও সাতবাড়িয়া ইউনিয়নের কমিটি গঠন করা হয়নি। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী বাকি ২ ইউনিয়ন ও উপজেলা পর্যায়ে সম্মেলন সম্পন্ন করা হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাজধানীতে বৃষ্টি জলাবদ্ধতায় ভোগান্তি
পরবর্তী নিবন্ধবৃষ্টিতে পরিত্যক্ত প্রথম ওয়ানডে