তিন মাসেই কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে প্রায় ৩ হাজার

| বৃহস্পতিবার , ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ at ১০:৩৩ পূর্বাহ্ণ

মাত্র তিন মাসে দেশের ব্যাংকগুলোতে কোটি টাকার বেশি জমা রাখা হিসাবের সংখ্যা বেড়েছে প্রাায় তিন হাজার। মার্চ প্রাান্তিকের চেয়ে জুন শেষে এ সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ১৯ হাজারটি। কোটি টাকার বেশি রয়েছে এমন ব্যাংক হিসাবের সংখ্যা বেশ কিছুদিন থেকেই বাড়ছে। লাখের ওপর এমন অ্যাকাউন্ট থাকার তথ্য মিলছে গত কয়েক বছর ধরেই।

জুন শেষের তথ্য অনুযায়ী, ৩৪ হাজার ৪৮১টি ব্যক্তি অ্যাকাউন্টে কোটি টাকার বেশি জমা আছে। আর এমন অ্যাকাউন্টের মধ্যে ৪০ হাজার ২৮৯টি সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার। এর বাইরে প্রায় ৪৪ হাজারটি বিভিন্ন বেসরকারি কোম্পানি ও ব্যবসায়ী প্রাতিষ্ঠানের। খবর বিডিনিউজের।

ব্যাংকাররা বলছেন, ব্যক্তি, কোম্পানি ও প্রাতিষ্ঠানসব মিলিয়েই ব্যাংক হিসাবে কোটি টাকা বা এর বেশি টাকা থাকার এ পরিসংখ্যান দাঁড়িয়েছে। মঙ্গলবার ব্যাংক হিসাব নিয়ে প্রকাশিত বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন বলছে, চলতি বছর জুন প্রান্তিক শেষে ব্যাংকে এক কোটির ওপর টাকা রয়েছে এমন অ্যাকাউন্টধারীর সংখ্যা ১ লাখ ১৯ হাজারটি। তিন মাস আগে মার্চ প্রান্তিক শেষে এমন ব্যাংক হিসাব ছিল ১ লাখ ১৬ হাজারটি। এ হিসাবে এক কোটি টাকার বেশি আমানতের অ্যাকাউন্ট বেড়েছে প্রায় ২ হাজার ৮৯৪টি।

বাংলাদেশ ব্যাংক তিন মাস পরপর শিডিউলড ব্যাংকস স্ট্যাটিসটিঙ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রাকাশ করে। এর আগে ২০২৩ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এ প্রতিবেদনের তথ্য বলছে, ওই বছরের জুন শেষে দেশে কোটি টাকার বেশি অ্যাকাউন্ট ছিল ১ লাখ ১৩ হাজার ৫৫৪টি। পরপর দুই বছরের জুন প্রান্তিকের হিসাবের ব্যবধানে দেখা যাচ্ছে, এক বছরেই দেশে কোটি টাকার বেশি অ্যাকাউন্ট বেড়েছে ৫৪৪৬টি।

প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুন শেষে ব্যাংক খাতে আমানত দাঁড়ায় ১৮ লাখ ৩৯ হাজার কোটি টাকা, যার মধ্যে ৭ লাখ ৭৩ হাজার কোটি টাকার আমানত ১ কোটি টাকার ওপর অ্যাকাউন্টধারীদের, যা মোট আমানতের প্রায় ৪২ শতাংশ।

জানতে চাইলে গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগের (সিপিডি) নির্বাহী পরিচালক ফাহমিদা খাতুন বলেন, কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট বাড়তে থাকা আসলে কীসের ইঙ্গিত। ব্যক্তির আয় সাধারণত ফিঙড থাকে। ফলে তাদের অ্যাকাউন্টগুলো কোটি টাকার অ্যাকাউন্টে রূপান্তরের সম্ভাবনা কম। অত্যাধিক মূল্যস্ফীতির কারণে ছোটবড় ব্যবসাগুলো এখন খুব বেশি ভালো করতে পারছে না, তারা নতুন করে বড় ধরনের বিনিয়োগেও যাচ্ছে না। ফলে মূল্যস্ফীতির এই সময়ে কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট বাড়ার সুযোগ কম ছিল। এমন প্রেক্ষাপটে নামেবেনামে ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা হচ্ছে কি না, তা খতিয়ে দেখতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পর্যালোচনা করা উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইসলামী ব্যাংকের শেয়ারে কারসাজির সন্দেহ, তদন্তের নির্দেশ
পরবর্তী নিবন্ধআনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মুহাম্মদ মহসিনের ইন্তেকাল