তিন মামলায় আসামি ১৪০০ আহত আরও একজনের মৃত্যু

ঢাকা নিউ মার্কেটে সংঘর্ষ

| শুক্রবার , ২২ এপ্রিল, ২০২২ at ৫:৩২ পূর্বাহ্ণ

ঢাকার নিউ মার্কেট এলাকায় দোকান মালিক ও কর্মীদের সঙ্গে ঢাকা কলেজের ছাত্রদের সংঘর্ষের ঘটনায় তিন মামলায় পুলিশকে তদন্ত করার জন্য দেড় মাস সময় দিয়েছে আদালত। মামলাগুলো গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে ওঠার পর এজাহার গ্রহণ করে প্রতিবেদন দাখিল করতে ঢাকা মহানগর হাকিম শুভ্রা চক্রবর্তী আগামী ৭ জুন দিন রাখেন। খবর বিডিনিউজ ও বাংলানিউজের। তিন মামলার মধ্যে বিস্ফোরকদ্রব্য আইনের একটি মামলা করেছেন নিউ মার্কেট থানার এসআই মেহেদী হাসান। একই থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ইয়ামিন কবির দাঙ্গা-হাঙ্গামা, জ্বালাও-পোড়াও, পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে আরেকটি মামলা করেছেন। সংঘর্ষের মধ্যে পড়ে নিহত ডেলিভারিম্যান নাহিদ মিয়ার চাচা মো. সাঈদ দায়ের করেন হত্যা মামলা। তিন মামলায় শিক্ষার্থী, ব্যবসায়ীসহ প্রায় ১৪শ মানুষকে আসামি করা হয়েছে।
মোরসালিনের পরিবারে আর্তনাদ : এদিকে মঙ্গলবার সংঘর্ষের মধ্যে ইটের আঘাতে আহত মোরসালিন নামের এক দোকান কর্মচারীও চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন গতকাল বৃহস্পতিবার ভোরে। এ বিষয়ে এখনও কোনো মামলা হয়নি থানায়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল মর্গ থেকে কামরাঙ্গীরচরের পশ্চিম রসুলপুর তার বাসায় নেওয়া হয়েছে। সেখানে মরদেহ নেওয়ার পর আত্মীয়-স্বজনসহ আশপাশের লোকজনের মধ্যে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য দেখা যায়। চারদিক থেকে শোনা যাচ্ছিল বুকফাটা আর্তনাদ। নিহত মোরসালিনের চার বছরের শিশু সন্তান আমির হামজা মার কোলে বসে এদিক-সেদিক তাকিয়ে তার মাকে বলে, মা বাবা কই, বাবা আইছে? গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মোরসালিনের মরদেহ কামরাঙ্গীরচরের পশ্চিম রসুলপুরের বাসায় নেওয়া হলে এমন দৃশ্য দেখা যায়।
বাসার ভেতরে দেখা যায়, নিহত মোরসালিনের স্ত্রী অনি আখতার মিতুকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা খুঁজে পাচ্ছে না আত্মীয়-স্বজনরা। তার আর্তনাদ দেখে স্বজনদেরও চোখ মুছতে দেখা যায়। তখন মিতুর কোলে ছিল তাদের চার বছরের শিশু সন্তান আমির হামজা। সে তখন তার মার দিকে তাকিয়ে বলতে থাকে, মা বাবা কই, বাবা আইছে। তখন তার বাবার মরদেহ ছিল খাটিয়ায়।
দোকান মালিক এক নম্বর আসামি : রাজধানীর নিউমার্কেট এলাকায় ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে দুটি মামলা দায়ের করেছে। এর একটি মামলায় পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে ২৪ জন এজাহারনামীয়সহ ব্যবসায়ী-কর্মচারী অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। এছাড়া একই মামলা অজ্ঞাত হিসেবে ঢাকা কলেজের ৭০০ জন শিক্ষার্থীকে আসামি করা হয়েছে। মামলার এক নম্বর আসামি অ্যাডভোকেট মকবুল নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সভাপতি। বর্তমানে তিনি ঢাকা মহানগর দক্ষিণের বিএনপির কার্যকরী সদস্য। নিউমার্কেটের যে দুটি খাবারের দোকান থেকে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয় তা মকবুলের মালিকানাধীন বলে জানা গেছে। মামলার আরেক আসামি জাহাঙ্গীর হোসেন পাটোয়ারি নিউমার্কেট থানা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া আরও কয়েকজন নিউমার্কেট থানার বিএনপির সাবেক নেতা এ মামলার আসামি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপেকুয়ায় ৮০ হাজার টাকার জালনোটসহ গ্রেপ্তার ১
পরবর্তী নিবন্ধথাকছে না দ্বিতীয়বার অংশগ্রহণের সুযোগ