পাঁচদিন ধরে নিখোঁজ থাকা দশ বছরের শিশু নুপুরকে ষষ্ঠ দিনের মাথায় পাওয়া গেছে। সে তার মায়ের কাছে চলে গিয়েছিল। মা-বাবার বিচ্ছেদের কারণে তিন বছর ধরে মাকে দেখতে পায়নি সে। এজন্য গত ১৭ ডিসেম্বর একাকী সে মায়ের কাছে চলে গিয়েছিল।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নূপুরের মা-বাবার তিন বছর আগে বিচ্ছেদ হয়ে যাওয়ায় মায়ের সঙ্গে চলে যায় নুপুরের ভাই। আর বাবার সঙ্গে চলে আসে ১০ বছর বয়সী শিশু ফারজানা আক্তার নুপুর। সেই থেকে কুমিল্লায় ফুফু ও পরে নগরীর বায়েজিদে ফুফাতো বোনের বাড়িতেই বসবাস ছিল তার। কিন্তু দীর্ঘদিন মাকে দেখতে না পেয়ে ১৭ ডিসেম্বর শিশু নুপুর কাউকে কিছু না জানিয়ে বাসা থেকে বের হয়ে নিজে নিজেই চলে যায় মায়ের বাসায়।
নুপুরের বাবা জানান, প্রতিদিনের মতোই গত
১৭ ডিসেম্বর দুপুরে বাসার ময়লা ফেলতে নিচে নামে সে। অনেক সময় পেরিয়ে গেলেও তাকে ফিরতে না দেখে খোঁজাখুঁজি শুরু করে বাসার মানুষ। তিনি বলেন, সেদিন থেকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি ও মাইকিং করেও শিশুটির কোনও সন্ধান পাওয়া যায়নি। রাত দুইটার দিকে নগরীর ষোলশহর রেলস্টেশনে গিয়েও খোঁজাখুঁজি করি। সেখানে এক বিরিয়ানি বিক্রেতা জানিয়েছেন, নুপুরকে তিনি দেখেছেন এবং তার দোকান থেকে বিরিয়ানিও খেয়েছে। এরপর আর তিনি কিছু জানাতে পারেননি। পরের দিন ১৮ ডিসেম্বর নুপুরের বাবা বায়েজিদ থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন। ষষ্ঠ দিনের মাথায় এসে নগরীর ওয়ারলেস মেম্বার হোটেলের পাশের রোডে থাকা মায়ের বাসায় নুপুরের খোঁজ মেলে।
নুপুরের ফুফাতো বোন মিতু বলেন, নুপুর তার মায়ের কাছে চলে গিয়েছে সেটা আমরা ধারণা করলেও তাকে সেখানে গিয়ে খুঁজতে পারিনি। কারণ, মামীর (নুপুরের মা) সঙ্গে আমার মামার (নুপুরের বাবা) তিন বছর আগে বিচ্ছেদ হয়। সেই থেকে মামীর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ নেই। আর মামীর বাসা আগে যেখানে ছিল সেখানে গিয়ে আমরা খুঁজেছি। তবে তারা আগের বাসা পরিবর্তন করায় নতুন বাসার লোকেশন আমরা জানি না। আর আমরা ওয়ারলেস এলাকায়ও মাইকিং করেছিলাম। কিন্তু নুপুর সেখানে যাওয়ার পরও তার মা-মামা কেউ আমাদের জানায়নি। পরে আজ দুপুরে আমার মামাকে (নুপুরের বাবা) ফোন করে জানায় নুপুর তাদের কাছে আছে। পরে আমি তাদের বাসার ঠিকানা নিয়ে সেখানে গিয়ে নুপুরকে দেখি। তাকে সেখানেই রেখে এসেছি।












