থানায় আটকে রেখে মামলার ভয় দেখিয়ে এক মাদ্রাসা শিক্ষকের কাছ থেকে টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খুলশী থানার তিন পুলিশসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। পাঁচ আসামি হলো, খুলশী থানার এসআই সুমিত বড়ুয়া, ইকবাল বিন ইউসুফ, এএসআই মো. এমদাদ, খুলশী আমবাগান এলাকার ব্যবসায়ী মো. জাহাঙ্গীর ও মো. ইয়াসিন।
গতকাল চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট নুসরাত জাহান জিনিয়ার আদালতে মামলাটি করেন ভুক্তভোগী মাদ্রাসা শিক্ষক আজিজুল হক। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। বাদীর আইনজীবী মাহমুদুল হক আজাদীকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ভুক্তভোগী বায়েজিদের একটি মাদ্রাসা শিক্ষক। আসামিরা থানায় আটকে রেখে তার কাছ থেকে ১ লাখ টাকা হাতিয়েছেন। এছাড়া দেড় লাখ টাকার চেক ও স্ট্যাম্পে সই নেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, আজিজুল হক একটি পুরাতন এসি কিনেছিলেন। সেটি কাজ না করায় তিনি একজনের মাধ্যমে তা নগরীর আমবাগানে একটি দোকানে বিক্রি করতে পাঠায়। সেটি ছিল ইয়াছিনের দোকান। ইয়াছিন দাবি করে বসে এসিটি তার দোকান থেকে চুরি হওয়া এসি। একপর্যায়ে সেখানে আজিজুল হক হাজির হলে সাদা পোশাকের পুলিশ তথা এজাহারে বর্ণিত পুলিশ সদস্যরা তাকে থানায় নিয়ে যায়। সেখানে তার কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়ে ক্রসফায়ারের হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়। পরে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও জানান আইনজীবী মাহমুদুল হক।












