পাহাড়ে চাঁদাবাজি বন্ধ হওয়া দরকার, শান্তি–শৃঙ্খলা ফিরে আসা দরকার। বান্দরবানে চলমান ঘটনাগুলো নিরসন হওয়া দরকার। যাতে মানুষের জীবনে সুখ ফিরে আসে। পার্বত্য চট্টগ্রামে নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়া এবং সুখ শান্তি ফিরে আসাটা জরুরি হয়ে পড়েছে। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠনের সংবাদ খুব শীঘ্রই পাবেন। গতকাল সোমবার বান্দরবান সার্কিট হাউজ কনফারেন্স রুমে সরকারি বিভিন্ন বিভাগ–সংস্থার সঙ্গে মতবিনিময় শেষে প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন অন্তর্বর্তী সরকারের পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সুপ্রদীপ চাকমা। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ মোজাহিদ উদ্দিন, বান্দরবান শাখা ডিজিএফআইয়ের কমান্ডার কর্নেল আসাদুল্লাহ জামশেদ, বান্দরবান বিজিবির সেক্টর কমান্ডার কর্নেল আনোয়ারুল হক, পুলিশ সুপার সৈকত শাহীনসহ সরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। তিনি আরও বলেন, শিক্ষা ব্যবস্থার পরিবর্তন হওয়া দরকার। পার্বত্য চট্টগ্রামে মানসম্মত শিক্ষা ব্যবস্থা এখনো গড়ে উঠেনি, যে কারণে পাহাড়ের ছেলেমেয়েরা সমতলের শিক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে পারে না। এই অঞ্চলের মানুষের আর্থ–সামাজিক ও অর্থনৈতিক উন্নয়ন জরুরি। যাতে তারা সন্তানদের ভালো স্কুল কলেজে লেখাপড়া করাতে পারে। তাহলে ভবিষ্যতে মেধাবী সুশিক্ষিত প্রজন্ম তৈরি হবে। ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞার প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, এ অঞ্চলের নিরাপত্তার বিষয়টি নিরাপত্তা বাহিনী ভালো জানেন, তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। কারণ কোনো পর্যটক বেড়াতে এসে যাতে সমস্যায় না পড়ে। নিরাপত্তা নিশ্চিত হওয়াটা আগে দরকার। পরিবেশ তৈরি হলে কাজ করাটা সহজ। তিন পার্বত্য জেলা পরিষদ পুনর্গঠনের সংবাদ খুব শীঘ্রই পাবেন। পার্বত্য জেলা পরিষদ নির্বাচনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আপনারা ষোল বছরের সমস্যার সমাধান ১৫ দিনে চাচ্ছেন, এটা কি সম্ভব। আপনারা এতদিন যেসকল বিষয়ে গুরুত্ব দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম সাজাতে কাজ করেছেন, আমরাও তেমনিভাবে কাজ করবো। সরকারের একটা রোডম্যাপ আছে, সেটির বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ আমাদের নেই। আমরা কাজ শুরু করেছি মাত্র। আপনাদের সুচিন্তিত মতামত নিয়ে স্বনির্ভর সুশৃঙ্খল বাংলাদেশ গড়তে একসঙ্গে কাজ করবো। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা দরকার।