তিন পার্বত্য জেলায় পৌঁছেছে ১২ হাজার করে ৩৬ হাজার ডোজ করোনা ভ্যাকসিন। গতকাল রোববার ভ্যাকসিনগুলো বেক্সিমকোর ফ্রিজারভ্যান করে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবান জেলায় পৌঁছায়। খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি জানান, খাগড়াছড়িতে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে পৌঁছেছে করোনা ভ্যাকসিনের ১২ হাজার ডোজ। গতকাল রোববার বিকেল ৪টায় বেঙ্মিকোর ভ্যাকসিনবাহী ফ্রিজার ভ্যান জেলা সদর হাসপাতালের ইপিআই সেন্টারে পৌঁছানোর পর তাপমাত্রা পরীক্ষার পর হস্তান্তর করা হয়।
এসময় খাগড়াছড়ি জেলা ডেপুটি সিভিল সার্জন মিটন চাকমা, জেলা প্রশসানের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মেহেদী হাসানসহ বেঙিমো ফার্মার কর্মকতারা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে প্রশিক্ষণ দেয়া হয়েছে।
রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, রাঙামাটিতে পৌঁছেছে করোনা টিকার প্রথম চালান। প্রথম চালানে ১২ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন গতকাল দুপুর ১টা দিকে রাঙামাটি সিভিল সার্জন ডা. বিপাশ খীসা গ্রহণ করেছেন। দুপুরে ভ্যাকসিন বহনকারী ফ্রিজারভ্যানে করে সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌঁছায়। পরে সেগুলো ইপিআর স্টোরে রাখা হয়। সেখান থেকে চাহিদা অনুযায়ী রাঙ্গামাটি ২টি পৌরসভা ও ১০টি উপজেলায় সরবরাহ করা হবে।
রাঙামাটিতে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়া হবে ১৮ টি কেন্দ্রে। শুরুতে অগ্রাধিকার হিসেবে তালিকাভুক্ত ব্যক্তিরাই এই ভ্যাকসিন পাবে। প্রথমে সদর উপজেলা পর্যায়ে ইউএনওর তত্ত্বাবধানে কার্যক্রম পরিচালিত হবে। তিনি জানান, রেজিস্ট্রেশনের চাহিদা অনুযায়ী ইপিআই স্টোর থেকে উপজেলা পর্যায়ে প্রয়োজনমতো ভ্যাকসিন সরবরাহ করা হবে।
বান্দরবান প্রতিনিধি জানান, বান্দরবানের সাতটি উপজেলার তেত্রিশটি ইউনিয়নের জন্য প্রথম দফায় করোনা ভাইরাসের ১২ হাজার ডোজ ভ্যাকসিন পেয়েছে। গতকাল রোববার সকালে ভ্যাকসিনবাহী বেঙ্মিকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ফ্রিজার ভ্যান গাড়িটি বান্দরবান সিভিল সার্জন কার্যালয়ে এসে পৌঁছলে বান্দরবান সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা তা গ্রহণ করেন। এসময় বান্দরবান স্বাস্থ্য বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
স্বাস্থ্য বিভাগ জানায়, করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন প্রয়োগের জন্য ইতিমধ্যে বান্দরবান জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেঙের কর্মীদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। দুদিনব্যাপী প্রশিক্ষণে করোনা ভ্যাকসিন প্রয়োগ, সংরক্ষণ এবং ভ্যাকসিন প্রয়োগের পর তদারকির বিষয়টি শেখানো হচ্ছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে বান্দরবানের সিভিল সার্জন ডা. অংসুই প্রু মারমা জানান, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কাছে আমরা ২১ হাজার ৮৬২টি ভ্যাকসিন চাহিদা পাঠিয়ে ছিলাম। তবে সাতটি উপজেলার জন্য ইতিমধ্যে প্রথম দফায় ১২ হাজার ডোজ হাতে পেয়েছি। আগামী ৭ ফেব্রুয়ারি ভ্যাকসিন প্রয়োগ কার্যক্রম শুরু করা হবে।